খাশোগি হত্যা: নতুন সংস্করণে নেই তিন নাম

0

ডেস্ক রিপোর্ট: সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সরাসরি অনুমোদনের কথা বলা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরে প্রথম প্রকাশ করা প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেয় বাইডেন প্রশাসন। তার পরিবর্তে প্রতিবেদনটির আরেকটি সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। যেখানে পূর্বের সংস্করণে ছিল, এমন তিনজনের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিষয়টিকে ‘রহস্যজনক’ বলছে সিএনএন। সোমবার (১ মার্চ) সিএনএন অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম প্রকাশ করা গোয়েন্দা প্রতিবেদনে খাশোগি হত্যার সহযোগী হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ ছিল, নতুন সংস্করণে তিনজন ব্যক্তির নাম গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।যে তিন ব্যক্তির নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি তারা হলেন- আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল-হোয়ারিনি, ইয়াসির খালিদ আলসালেম ও ইব্রাহিম আল-সালিম। এদের মধ্যে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল-হোয়ারিনি সৌদির একজন ক্ষমতাধর মন্ত্রীর ভাই বলে জানা গেছে। বাকি দুজনের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।অবশ্য, বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের দফতরের এক মুখপাত্র। পরিচয় প্রকাশ না করে তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘প্রথম প্রতিবেদনটিতে ভুল করে তিনটি নাম রয়ে গিয়েছিল। এই নামগুলো প্রতিবেদনে থাকা উচিত হয়নি। তাই আমরা ওয়েবসাইটে একটি সংশোধিত নথি দিয়েছি।’খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে আগে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতেও অবশ্য এই তিন ব্যক্তির নাম ছিল না।২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাইডেন প্রশাসন প্রথম খাশোগি হত্যার গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার অনুমতি দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে, সৌদি সরকার ওই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে ‘মিথ্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।  এদিকে সৌদির সাবেক গোয়েন্দা উপপ্রধান ও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ৭৬ জন সৌদি নাগরিকের ওপরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সীমানার বাইরে সাংবাদিক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা দেশগুলোকে শায়েস্তা করতে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের ওপরও নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ করা হতে পারে।মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, যেসব সৌদি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে শুধু তারাই নন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ করা হতে পারে।

Share.