ডেস্ক রিপোর্ট: মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে কিন্তু গণহত্যা নয়। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা নির্যাতনের বিষয়ে বাড়িয়ে বলছেন। সংস্থা রয়টার্সের। বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা মামলার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক মতামতে তিনি এসব কথা জানান। সু চি জানান, এক্ষেত্রে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর এবং জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তাদের জানার সীমাবদ্ধতার শিকার হয়েছে মিয়ানমার। দেশীয় আইনি প্রক্রিয়ায় এই কুকর্মের সঙ্গে জড়িতদেরকে শাস্তি দেয়া সম্ভব ছিল। এদিকে আইসিজের আদেশে এদিন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা হয়েছে উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারক আব্দুলকাউয়ি আহমেদ ইউসুফ বলেন, তাদের রক্ষা করতে জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে মিয়ানমারকে। তিনি আরও বলেন, এই আদেশের পর রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে মিয়ানমারের নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কিত প্রতিবেদন চার মাসের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে দেশটিকে। মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চলছে এমন অভিযোগ এনে গত বছরের নভেম্বর মাসে আইসিজে-তে মামলা করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। এই মামলায় বলা হয়, মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের জেনো-সাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।
উল্লেখ্য, রাখাইনে ২০১৭ সালের আগস্টে দেশটির সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করলে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এই পরিস্থিতিতে গাম্বিয়া আরও ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিতে আইসিজের কাছে আবেদন করে।