গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত-১২

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শুক্রবার নতুন করে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে এক শিশুসহ ১২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উস্কানিমূলক তৎপরতা ছাড়াই ইসরায়েলি বাহিনী এ হামলা চালায়। এতে অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন। ‘ইসলামি জিহাদ’ জানিয়েছে, গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যালেস্টাইন টাওয়ারের একাধিক অ্যাপার্টমেন্টে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এতে সেখানে থাকা ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা আল কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার তাইসির আল জাবারি শহীদ হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যালেস্টাইন টাওয়ারের একাধিক অ্যাপার্টমেন্টে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় নিহতদের মধ্যে ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার আল জাবারির পাঁচ বছরের শিশুকন্যাও রয়েছে। আহত আরও ৮০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন যাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বেসামরিক লোকজনে পরিপূর্ণ বহুতল ভবন ছাড়াও গাজা উপত্যকার আরো দুটি স্থানে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। হামাসের মুখপাত্র ফাওজি বারহুম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকেই এই উত্তেজনা শুরু করা হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সর্বশক্তি দিয়ে গাজা উপত্যকায় আমাদের জনগণকে রক্ষা করবে এবং প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখবে। এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সেনাদের পাশবিক বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল অভিমুখে অন্তত ১০০ রকেট নিক্ষেপ করেছে ইসলামি জিহাদ আন্দোলন। ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব জিয়াদ আন-নাখালা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, শুক্রবারের আগ্রাসনের পর ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ‘অবিরাম’ সংঘাতের মুখোমুখি হতে হবে। এবারের হামলার পর ইসরাইলের সঙ্গে আর কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না বলে তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।

Share.