গান্ধীর হত্যাকারীকে ‘দেশভক্ত’ বলা সেই বিজেপি নেতা বরখাস্ত হচ্ছেন

0

ডেস্ক রিপোর্ট: মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নথুরাম গডসে’কে ‘দেশভক্ত’ আখ্যা দেওয়ার পর পার্লামেন্টের একটি কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আইনপ্রণেতা স্বাধবী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। মাত্র আটদিন আগে প্রতিরক্ষাবিষয়ক ওই কমিটিতে নিয়োগ পান তিনি। পাশাপাশি বর্তমান অধিবেশনে বিজেপির পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকেও অংশ নিতে পারবেন না তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বিজেপি’র শৃঙ্খলা কমিটি তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের নথুরামকে ‘দেশভক্ত’ আখ্যা দিলেন প্রজ্ঞা সিং। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ডানপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীর সদস্য নথুরাম গডসে একেবারে কাছ থেকে মহাত্মা গান্ধীর বুকে তিনটি গুলি চালায়। এতে মৃত্যু হয় ভারতের জাতির জনক হিসেবে পরিচিত মহাত্মা গান্ধীর। তবে তার বিরুদ্ধে মুসলমানদের প্রতি নমনীয় হওয়ার অভিযোগ তুলে থাকে হিন্দু কট্টরপন্থীরা। এর আগে মে মাসে নির্বাচনি প্রচারণার সময় প্রথমবারের মতো নথুরাম গডসে’কে ‘দেশভক্ত’ আখ্যা দেন প্রজ্ঞা সিং। নিজ দল বিজেপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ওই সময়ে এই মন্তব্যের নিন্দা জানায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সমাজে এই ধরণের মন্তব্যের কোনও স্থান নেই। তিনি (প্রজ্ঞা সিং) হয়তো ক্ষমা চাইতে পারেন কিন্তু আমি তাকে ক্ষমা করতে পারবো না’। পরে ক্ষমা চান প্রজ্ঞা সিং। ওই নির্বাচনে ভোপালের আসন থেকে বিজেপি’র মনোনয়নে নির্বাচিত হন তিনি। বুধবার (২৭ নভেম্বর) পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এক আলোচনায় আবারও নথুরাম গডসে’কে ‘দেশভক্ত’ আখ্যা দেন এই বিজেপি নেতা। তবে তার দল ও সরকার উভয়েই এই বিতর্কিত মন্তব্য থেকে দূরে অবস্থান নিয়েছে। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তার মন্তব্যের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘নথুরাম গডসে’কে দেশপ্রেমিক বিবেচনা করা যেকোনও মতাদর্শকে আমরা নিন্দা করি’। গান্ধীর আদর্শ আজও প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে তিনি তাকে ‘পথপ্রদর্শক’ আখ্যা দেন। কেবল বিতর্কিত মন্তব্যই নয়, প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে এক বিস্ফোরণে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। ওই বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত ও অন্তত একশো জন আহত হয়। বর্তমানে ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন তিনি।

Share.