শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

গার্মেন্টস ভাঙচুর, জিএমসহ ৩ জন আহত

0

ঢাকা অফিস: নারাণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সুমিলপাড়া এলাকায় মুনলাক্স কম্পোজিট নিট লি. গার্মেন্টস কারখানায় এক শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিবাদে উত্তেজিত শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় তারা গার্মেন্টসের বেশ কয়েকটি কক্ষের কাঁচ ভাঙচুর করে এবং কারখানার জিএমসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। পরে শিল্পাঞ্চল ও থানা পুলিশ কারখানার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি  ঘটেছে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়। পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, রবিবার রাতে মুনলাক্স কম্পোজিট নিট লি. গার্মেন্টস কারখানার অপারেটর আমিনুল ইসলামকে কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করেছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকালে অন্যরা কারখানায় এসে ওই শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ জানায়। তারা ওই শ্রমিককে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। পরে শ্রমিকরা আমিনুলের ছাঁটাইয়ের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা হুমায়ুনকে অনুরোধ করে। কিন্তু তিনি ছাঁটাইয়ের আদেশ প্রত্যাহার না করে শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে গার্মেন্টসের অফিস কক্ষ,  ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কক্ষ ও কনফারেন্স কক্ষ কাঁচ ভাঙচুর করে। পরে শ্রমিকরা গার্মেন্টসের জিএম মনির হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। এতে তিনজন আহত হয়। আহত জিএম মনির হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে শিল্পাঞ্চল পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্রকিমকরা জানায়, গার্মেন্টসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হুমায়ুন সোহরাব বহিরাগত লোক এনে শ্রমিক আমিনুলকে গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে হুমকি-ধমকি দিয়ে তাকে ছাঁটাই করে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকালে শ্রমিকরা আমিনুলের ছাঁটাই আদেশ প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা হুমায়ুনকে অনুরোধ করলে তিনি শ্রমিকদের গালমন্দ করেন। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে গার্মেন্টস ভাঙচুর করে। গার্মেন্টসের মালিক মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের জানায়, শ্রমিকরা গার্মেন্টসে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই শ্রমিক স্বেচ্ছায় এ মাসের পর চাকুরি করবে না বলে জানানোর পর তার পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক জানান, ছাঁটাই শ্রমিককের পুনর্বহালের দাবিতে শ্রমিকরা ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) সৈকত শাহীন জানান, এক শ্রমিককে ছাঁটাই করাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে কারখানায় ভাঙচুর করেছে। কারণ ছাঁটাই করা শ্রমিক তাদের নেতা। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশের ২ এএসপি ও ২ পরিদর্শকের নেতৃত্বে শিল্প পুলিশের ৪০ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Share.