গোপনে বিয়ের পর যৌতুক দাবি, কারাগারে সিআইডির কর্মকর্তা

0

ঢাকা অফিস: খুলনায় যৌতুক মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে সিআইডির উপ-পরিদর্শক এসআই মিঠুন রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক দিলরুবা আক্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। খুলনার ডুমুরিয়ার ছেলে মিঠুন রায় ঢাকা সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের সাইবার শাখায় কর্মরত রয়েছেন।আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে মিঠুন রায়ের সঙ্গে খুলনার বটিয়াঘাটার দেবিতলা গ্রামের তিথি বিশ্বাসের পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিথি বর্তমানে খুলনার সরকারি মহিলা কলেজে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে তিথিকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন মিঠুন। বিয়ের পর খুলনা ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তিথিকে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করেন।একপর্যায়ে তিথি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জোর করে গর্ভপাত করান। পরে মিঠুনকে তিথি তার বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে নিতে বললে তিনি দুই বিঘা জমি, ১০ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। মিঠুন জানতেন তিথির পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ, যে কারণে তারা যৌতুক দিতে পারবেন না। যৌতুকের দাবিতে মিঠুন পরে তিথিকে নির্যাতন শুরু করেন। পরে তিথি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন বলেন, মামলাটি আদালত তদন্তের জন্য বটিয়াঘাটার মহিলা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়। মিঠুন তার পুলিশের প্রভাব প্রয়োগ করে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে ফেলেন। এরপর আদালত বিথী বিশ্বাসের আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইবুনালে সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে মিঠুর বিরুদ্ধে সমন জারি করে। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) মিঠুন রায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।আদালত উভয়পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে মিঠুন রায়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। মিঠুন রায়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। একটি হচ্ছে যৌতুক মামলা ও অপরটি পারিবারিক মামলা।

Share.