চীনে কাঁকড়া রফতানি প্রক্রিয়া শুরুর দাবিতে মানববন্ধন

0

 ঢাকা অফিস: প্রশাসনিক জটিলতা দ্রুত নিরসন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চীনে কাঁকড়া রফতানির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বাগেরহাটের কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও খামারীরা। বাগেরহাট জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ভাগা এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে বাগেরহাট, মোংলা, দিগরাজ, চালনা, ফয়লা, রামপাল, ভাগাসহ বিভিন্ন এলাকার শতশত কাঁকড়া ব্যবসায়ী, সমিতির নেতা ও খামারীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রামপাল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন দুলাল, বাংলাদেশ কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার বিশ্বাস, বাগেরহাট জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দীপঙ্কর মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন হাওলাদার। দ্বিগরাজ বাজার কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ বিল্লাহ, মোংলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতা উকিল উদ্দিন ইজারাদার, বাগেরহাট বাজার কাঁকড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অসীম কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সাধণ কুমার সাহা প্রমুখ।মানববন্ধনে বাংলাদেশ কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার বিশ্বাস বলেন, বাগেরহাট জেলা থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ কাকড়া রফতানি হত চীনে। যা থেকে দেশে অনেক বিদেশি মুদ্রা অর্জন হত। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে টানা প্রায় ৫ মাসের অধিক সময় চীনে কাঁকড়া ও কুঁচে রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কাঁকড়া শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত জেলার লক্ষাধিক পরিবার। রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ব্যাংক ঋণের চাপ আর সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে পথে বসতে হবে বলেও জানান তিনি।এ সময় বক্তারা আরও বলেন, চীনে এক কেজি কাঁকড়া বিক্রি করতাম ১৫‘শ থেকে ২ হাজার টাকায়। সেই কাঁকড়ার কেজি এখন বিক্রি করতে হয় মাত্র ৩‘শ থেকে ৪‘শ টাকা। যার ফলে কাঁকড়া চাষী ও ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।এভাবে চলতে থাকলে কাকড়া খামারীরা নিঃস্ব হয়ে যাবে। কাঁকড়া শিল্প, ব্যবসায়ী ও খামারীদের বাঁচাতে অবিলম্বে চীনে দেশীয় কাঁকড়া রফতানি কার্যক্রম চালুর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।

Share.