বিনোদন ডেস্ক: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে তিনি তার সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার ফিরে পাবেন- এই পদের ওপর চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ সোমবার আপিল বিভাগে বহাল থাকার পর এমনটাই আশা করছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিনি বলেছেন, নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে দিয়ে নিপুণ আক্তার জোর করে চেয়ার দখল করেছেন, এটা আদালতে প্রমাণিত হবে। আমি আমার চেয়ার ফিরে পাব।’ অভিনেতা আরও বলেন, ‘আদালত যে আদেশ দিয়েছেন তা আমার জন্য খুবই ইতিবাচক। আমার মনে হয়, এতে করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে। হয়তো কয়েকটা দিন সময় লাগবে। মঙ্গলবার শুনানি হবে, এ রকম আরও কয়েকটা শুনানির পর হাইকোর্ট বিষয়টিকে নিষ্পত্তি করে দেবেন। এ সময় পর্যন্ত কেউ শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসতে পারবে না। স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।’ শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে ১৩ ভোটে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জায়েদ খান। কিন্তু নিপুণ পরাজয় না মেনে প্রথমে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে এবং পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তিনি জায়েদ খানের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন। পরবর্তীতে নায়িকার এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয় এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে। আপিল বোর্ড পরে এফডিসিতে একটি মিটিং ডাকেন এবং জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন জায়েদ খান। সেদিনই আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে জায়েদ খানের পদ বহাল রাখে হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে আবার গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতি অবস্থা জারি করেন। সোমবার আপিল বিভাগও সেই আদেশ বহাল রাখেন। এই আদেশকে ইতিবাচক দেখছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘আদালত চাইলে নিপুণকে চেয়ারে বসতে দিতে পারতেন, কিন্তু দেননি। ওরা আবেদন করেছিল, সেটা নাকচ হয়েছে। এখন নির্বাচনী আপিল বোর্ড বৈধ কি না এটা আদালত দেখবেন। তফসিল অনুযায়ী আপিল বোর্ড অবৈধ। এই আপিল বোর্ড কারও প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে না। ফলাফল ঘোষণার এক দিন পর থেকে এই আপিল বোর্ডের আর কোনো কাজ নেই। ’ ও দিকে নিপুণ আক্তার গত ৯ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতের আদেশের পরই শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসে পড়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি নিজের নাম ও পদবী সম্বলিত নেমপ্লেটও বসিয়েছেন টেবিলে। এছাড়া বদলে ফেলেছেন সমিতির তালা-চাবি, চেয়ার এমনকি সিসি ক্যামেরার পাসওয়ার্ডও। এখন শেষ পর্যন্ত এই চেয়ারে কে বসবেন, তার দেখার জন্য আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতেই হবে।
জোর করে চেয়ার দখল করেছে, আমি আমার চেয়ার ফিরে পাব: জায়েদ খান
0
Share.