জ্বর-সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনি রোগ নিয়ে শত শত শিশু-কিশোর হাসপাতালে

0

বাংলাদেশ থেকে ফেনী প্রতিনিধি : জ্বর-সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শিশু-কিশোর রোগী বাড়ছে। এসব রোগ নিয়ে হাসপাতালের আসছে শত শত শিশু। ফেনী জেনালের হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের শিশুবিভাগে কোন শয্যাই খালি নেই। শয্যার অতিরিক্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বারান্দা ও করিডোরে। হাসপাতালটির শিশু বিভাগে গিয়ে কথা হয় নার্সিং ইনচার্জ নিলুফা সুলতানার সঙ্গে। তিনি জানান, গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৭০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর আগের দিন ছিল ৮৫ জন। হাসপাতালের সিনিয়র শিশু কনসালটেন্ট আজিজুর রহমান ও মর্জিনা আক্তার সকালে রোগীদের দেখেছেন। অধিকাংশ জ্বর, কাশি, সর্দি ও শ্বাসকষ্টের রোগী। হাসপাতালটির আরএমও ডা. ইকবাল হোসেন জানান, ২৬ জনের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিনই ৫০ জনের ওপরে রোগী ভর্তি থাকে। মৌসুমি জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালটির ফ্লু-কর্নারে কথা হয় শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ শাহরিয়ারের সঙ্গে। তিনি জানান, গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনি বহির্বিভাগে ৬০ জন রোগী দেখেছেন। এর মধ্যেই অধিকাংশ শিশু এবং অধিকাংশই জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। হাসপাতালের আরএমও ডা. ইকবাল হোসেন জানান, ফ্লু-কর্নারে রোগী ভর্তি আছে ৬০ জন। এর মধ্যে ৫৭ জন করোনা সাসপেকটেড, তিনজন পজিটিভ ও চারজন আইসিইউতে রয়েছেন। হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়, জ্বর-সর্দির রোগীর কারণে ঠাঁই নেই হাসপাতালে। রোগীর চাপে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের। বহির্বিভাগে আসা রোগীর অর্ধেকই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে অধীর অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে অভিভাবকদের। অন্য যেকোনো দিনের তুলনায় গতমঙ্গলবার ও বুধবার শিশু রোগীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। এরমধ্যে বেশিরভাগই জ্বর, ঠান্ডা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সেলিম চিশতী জানান, কোন একটা ফ্লু ভাইরাস যাচ্ছে, এর কারণে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অতিরিক্ত গরম, একটু একটু ঠান্ডা সব মিলিয়ে মৌসুম পরিবর্তনের কারণে বাচ্চারা জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ প্রয়োগেই বাচ্চারা সেরে উঠবে। এছাড়া ডায়াজিপাম জাতীয় ওষুধ প্রয়োগেও বাচ্চারা সেরে উঠছে।

Share.