জয়পুরহাটে দুই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

0

ঢাকা অফিস: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জয়পুরহাটের দুই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। অভিযোগটি তদন্ত করছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।২০১৭ সালে জয়পুরহাটে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সদর উপজেলার অন্তত ১৫ জনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেন দুই শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ ফাররোখ ও আমান উল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘ ৫ বছরেও প্রতিষ্ঠিত হয়নি বিদ্যালয়টি; আর চাকরিও পাননি কেউ। টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা ও হুমকি দেয়ারও অভিযোগ তোলেন তারা।ভুক্তভোগী একজন জানান, প্রধান শিক্ষক পোস্টে চাকরি দেয়ার নাম করে আমার কাছ আড়াই লাখ টাকা নিয়েছেন তারা। আজও পর্যন্ত তারা চাকরি দিতে পারেনি ও টাকাও ফেরত দিতে পারেননি। স্কুল তো প্রতিষ্ঠিত হয়নি, আবার তাদের ফোন দিলে নানা ধরনের হুমকি দেয়। এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা। অন্যদিকে, অভিযুক্তরা পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন অর্থ লেনদেনের ঘটনাটি একান্তই পারিবারিক।জয়পুরহাট অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ ফাররোখ বলেন, ৫ বছর পর তারা হঠাৎ করে এসে এ রকম একটা ষড়যন্ত্রমূলক ও হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এটা তারা করেছে।অভিযুক্ত শিক্ষক আমান উল্লাহর মেয়ে রিমু বলেন, যে মামলা হয়েছে সেটা সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।অর্থ হারিয়ে ও বেকারত্বের কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ভুক্তভোগীরা। দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন সুশীল সমাজ।কালাই মাত্রাই মডেল কলেজের প্রভাষক মামুনুর রশিদ বলেন, শিক্ষকদের দ্বারা যদি দুর্নীতিমূলক কাজ হয়ে থাকে, তাহলে জাতি কাকে বিশ্বাস করবে, কোন দিকে যাবে। জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল। বলেন, যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা জাতির শত্রু, তাদের বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি।তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিযুক্তরা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন।জয়পুরহাট সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রেজোয়ান হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, ১০ দিন পর তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়া হবে।অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াদুদ ফাররোখ জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং আমান উল্লাহ ঢাকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

Share.