ঢাকা অফিস: পূর্বাভাস অনুসারে রাজধানী ঢাকার আকাশ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত থেকেই মেঘলা ছিল। এর ফলে মধ্যরাত থেকেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হয়। বাংলাদেশ সময় ভোর হওয়ার সাথে সাথে রাজধানীতে বেড়েছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। এতে তাপমাত্রা কমে শীত বেড়েছে। ফলে আজ শুক্রবার ছুটির দিন হলেও বিপাকে পড়েছেন বাইরে কাজে বের হওয়া রাজধানীর নাগরিকরা। কাজে বের হওয়া ওই ব্যক্তিরা হঠাৎ বৃষ্টিতে অপ্রস্তুত থাকায় চরম বিরম্বনায় পরেছেন। যদিও বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শৈত্যপ্রবাহ ও সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী ৩, ৪ ও ৫ জানুয়ারি সারাদেশে বৃষ্টি শুরু হবে এবং তাপমাত্রা কমতে থাকবে। গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হবে। তিনি জানিয়েছেন, ৩ জানুয়ারির পর থেকে দেশের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। মাসের মাঝামাঝিতে জেঁকে বসতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মাসের শেষদিকে আবারও তীব্র শৈত্রপ্রবাহ বয়ে যাওযার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কনকনে শীত অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে। সামছুউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ডিসেম্বরে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল চার দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত বছর ছিল দুই দশমিক চার। এবছর সর্বনিন্ম তাপমাত্রা কত হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। সেটা কয়েকদিন পর বোঝা যাবে। তবে এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকবে, সেটি অনুমান করা যাচ্ছে। ঢাকায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হবে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ঢাকায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি হতে পারে।
ঝরছে বৃষ্টি, কমেছে তাপমাত্রা
0
Share.