পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন প্রত্যাহার

0

ঢাকা অফিস: আমরণ অনশনসহ অন্যান্য আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে ফার্মগেটের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) কার্যালয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ সরদার আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পে-স্লিপ পাওয়ার আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। যদি পে-স্লিপ না পাই, তাহলে ১৭ তারিখ থেকে আবারও কর্মসূচি চলবে। পাটমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন ১৬ জানুয়ারি থেকে জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১৫ কার্যকর হবে।’ এদিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মজুরি স্কেল-২০১৫ বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে মজুরি স্কেল-২০১৫ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় শ্রমিকদের পক্ষে অংশ নেন বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ ও রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। আলোচনায় দুই মন্ত্রী আশ্বাস দেন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের জাতীয় মজুরি স্কেল-২০১৫ এর মজুরি স্লিপ দেওয়া হবে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ নেতারা অনশনসহ সব আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছে বিজিএমসি।

উল্লেখ্য, পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের রোয়েদাদ-২০১৫ কার্যকর, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ ও গ্র্যাচুইটির অর্থ পরিশোধ, চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারীদের পুনর্বহালসহ ১১ দফা দাবিতে ২৯ ডিসেম্বর থেকে অনশন শুরু করেন পাটকল শ্রমিকেরা।

Share.