ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যের মহড়া

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-এর নেতা হেমন্ত সোরেন। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। রবিবার রাঁচিতে তার এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান যেন পরিণত হয়েছিল বিজেপি-বিরোধী ঐক্যের মহড়ায়। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় আসে এমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট। শপথ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মূ। দিনটিকে ‘সংকল্প দিবস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে মুখ্যমন্ত্রী দফতর। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নক্ষত্রদের সমাবেশ ছিল লক্ষ্যণীয়। এতে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, ডিএমকের এমকে স্তালিন প্রমুখ। রবিবার হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে শপথ নেন কংগ্রেসের দুই নেতা আলমগির আলম ও রামেশ্বর ওঁরাও এবং আরজেডি বিধায়ক সত্যানন্দ ভোক্তা। তারা শপথ নেন রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে। শপথ অনুষ্ঠানের পর টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এ নিয়ে কথা বলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং কংগ্রেসের মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। আমি আত্মবিশ্বাসী ঝাড়খণ্ডে ‌নতুন সরকার সব মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবে। তারা রাজ্যকে শান্তি ও উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।’ এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও টুইট করে নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। হেমন্ত সোরেন তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ায় সব ভোটারদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শপথগ্রহণের আগে একটি ভিডিও টুইটে তিনি বলেন, ‘নতুন সরকারের কাছে আপনাদের প্রত্যাশা আমি বুঝতে পারছি। সবাইকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। গত সোমবার ছিল সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ফল গণনার দিন। নির্বাচনি ফলাফলে দেখা গেছে ৮১ আসনের বিধানসভার ৪৭টিতে জয় পেয়েছে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট। নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিজেপির। তারা পায় মাত্র ২৫টি আসন। দুই বারের মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোরেন কম বয়সেই রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডার সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে শপথ নিয়ে দেশের সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। তবে সেবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মাত্র ১৭ মাস। ওই অল্প সময়েই তিনি সরকারি চাকরিতে নারীদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের মতো উদ্যোগ নেন। পাশাপাশি পশ্চিম সিংভূম, সারান্ডায় মাওবাদী অভ্যুত্থানের মোকাবিলা করে তার সরকার। ২০০০ সালে গঠিত হওয়ার পর থেকে ঝাড়খণ্ড এ যাবৎ নয়টি সরকার পেয়েছে। এ পর্যন্ত তিনবার সেখানে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়েছে।

Share.