টিকার চালান নিয়ে শঙ্কায় কাঠমান্ডু

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনার টিকা নিয়ে বিশ্ব রাজনীতি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন নেপালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর এ রাজনীতির বলি নেপালের মতো স্বল্প ও অনুন্নত দেশগুলো। আগামীতে কোভিড টিকার চালান নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কাঠমান্ডু। এতে ভাইরাস আরও ব্যাপক হারে ছড়ানোর শঙ্কা করছেন দেশটির চিকিৎসকরা।আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ, গরীব দেশগুলোতে টিকার সুষ্ঠু বণ্টন ও প্রাপ্তি নিয়ে।করোনা মোকাবিলায় নেপালের সাফল্য গত বছরের মাঝামাঝি বিশ্বে নজর কাড়ে। তবে যতই দিন গেছে পিছিয়ে পড়েছে দেশটি। বেড়েছে সংক্রমণ ও মৃত্যুহারও।বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার এ ছোট্ট দেশটি ভুগছে ভ্যাকসিন সংকটে। ভ্যাকসিন রাজনীতিতে নেপালের অবস্থান সবার নিচের সারিতে হওয়ায় এ সমস্যার উদ্ভব বলে মনে করেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্রিদায়েশ ত্রিপাঠী।তিনি বলেন, সারাবিশ্বেই ভ্যাকসিনের চাহিদা এখন তুঙ্গে। বড় বড় দেশগুলো আগে পাচ্ছে। আমরা সব শেষে অবস্থান করছি। ভারতের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সাহায্যে এখন পর্যন্ত কিছু টিকা পেয়েছি। আর কোনো উপায় আমাদের নেই।আরও টিকা পেতে ভারতের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সেরামের সঙ্গে যোগাযোগ করছে নেপাল সরকার। আপাতত তাদের চাওয়া ৫০ লাখ ডোজ। প্রায় ৩ কোটি মানুষের ভেতর ইতোমধ্যে ৪০ লাখ মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে নেপালে। ভারতের কাছ থেকে ১০ লাখ ডোজ উপহার ও বাকি ডোজগুলো কিনে নিয়েছে তারা। আর চীন দিয়েছে ৫ লাখ ডোজ। এছাড়া জাতিসংঘের তহবিল কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাবে দেশটি। সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে টিকার আওতায় আনার আশা দেশটির সরকারের।নেপালে সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতিতে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। এজন্য রাজনৈতিক অস্থিরতা ও টিকার সংকটকে অনেকাংশে দায়ী করছেন তারা। দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্তত ২৮শ মানুষ মারা গেছেন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস জানান, টিকার সমান বণ্টন না হলে সংকট আরও প্রকট হবে। ধনী দেশগুলোতে তরুণরাও টিকা পাচ্ছে। আর গরীব দেশগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই টিকা জুটছে না। টিকা নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে।বৈঠকে আফ্রিকার দেশগুলো ছাড়াও এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোর টিকার স্বল্পতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

Share.