ডেস্ক রিপোর্ট: চীনের ৮৯টি অ্যারোস্পেস এবং অন্যান্য কোম্পানির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে ঘোষণা দিতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয় এমন বেশকিছু পণ্য এবং প্রযুক্তি কিনতে পারবে না এসব প্রতিষ্ঠান। ওই তালিকা প্রকাশিত হলে বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বাণিজ্যিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান খাতও। কারণ এর ফলে মার্কিন কোম্পানিগুলো চীনের কাছে বেসামরিক বিমান খাতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বিক্রি করতে পারবে না। মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই তালিকা প্রস্তুত করেছে। তবে মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রে করা ওই তালিকায় রয়েছে বোয়িং ও এয়ারবাসকে টক্কর দিতে চাওয়া চীনা প্রতিষ্ঠান কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফট কর্প অব চায়না লিমিটেড (কোম্যাক)। এছাড়া অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অব চায়না (এভিআইসি) এবং এর সঙ্গে জড়িত ১০টি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে ওই তালিকায়। তালিকার খসড়া নীতি অনুযায়ী, চীনা ও রাশিয়ার কিছু কোম্পানিকে ‘সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মার্কিন সরবরাহকারীদের এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিকভাবে সহজলভ্য কিছু পণ্য বিক্রির আগে লাইসেন্স নিতে হবে। তবে এ ধরনের লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীদের হতাশই হতে হবে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ এগুলো গ্রহণ করার চেয়ে বাতিল করার সম্ভাবনাই রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগগুলোতে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আরও জোরালো করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১০ দিন আগে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প, যার ফলে ওয়াশিংটন যেসব চীনা প্রতিষ্ঠানেকে দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত বা মালিকানাধীন বলে মনে করে তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্রের কোনও প্রতিষ্ঠান।
ট্রাম্পের তোপের মুখে আরও ৮৯ চীনা প্রতিষ্ঠান
0
Share.