ট্রেন থেকে উদ্ধার আহত শিশুটি কার?

0

ঢাকা অফিস: আনুমানিক দুই-তিন বছরের শিশুটি হাসপাতালে বেডে শুয়ে শুধু কাঁদছে আর কাঁদছে। কিছুক্ষণ পর পরই তার বাবা-মায়ের খোঁজ করছে। না পেয়ে আবার শুরু অঝোরে কান্না। হাতে চিপস দিয়েও থামছে না সে কান্না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত নাম না জানা ওই শিশুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে উদ্ধারকারীরা। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত তিনটার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার পর ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশু একেবারেই একা হয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে তার আশপাশে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আহত লোকজনদের মধ্যে একটি কন্যা শিশুকেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি তার নাম বলতে পারছে না। তার সঙ্গে থাকা বাবা-মা বা কোনো অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। শিশুটি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত উদয়ন এক্সপ্রেসে ছিল বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। বর্তমানে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তার স্বজনদের খুঁজে পেতে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছেন অনেকেই। আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি শ্যামল কান্তি দাস জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আসামাত্রই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই ট্রেনেরই কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে বহু। তাদের মধ্য থেকে ৪৪ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোরে দুর্ঘটনার পর সকালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ধাপে ধাপে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

Share.