ঢাকা বিভাগের তিন জেলায় করোনার সংক্রমণ বেশি

0

ঢাকা অফিস:  ঢাকা বিভাগের তিন জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। আজ রোববার বুলেটিনে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।পরিচালক বলেন, ‘ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলায় সংক্রমণের হার উচ্চ। এরপর আছে গোপালগঞ্জ ও টাঙ্গাইল। একইভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের শতকরা হারে শনাক্ত বান্দরবানে বেশি। যদিও সেখানে নমুনা সংগ্রহ অত্যন্ত কম। কিন্তু আমরা যদি বেশি সংখ্যক রোগীর কথা বিবেচনা করি, তাহলে চট্টগ্রাম জেলায় সংক্রমণের হার বেশি।’নাজমুল আরও বলেন, এদিকে কুমিল্লা জেলায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে কম, কিন্তু শতকরা হিসাবে সেখানে শনাক্তের হার অন্য যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি। তিনি বলেন, রাজশাহী এবং খুলনা হচ্ছে এই মুহূর্তে আমাদের উদ্বেগের জায়গা। রাজশাহীতে শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে গতকালের পরিস্থিতি অনেক ভালো ছিল, সেখানে ছয় শতাংশের কম। নাটোরে ৩৭ শতাংশের বেশি, নওগাঁতে ৩৫ শতাংশের বেশি। এটি অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এই পরিস্থিতির আশু কোনো উন্নতি আমরা দেখছি না। খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ শতাংশের বেশি, যশোরে ৩৮ শতাংশ, খুলনায় ৩৮ শতাংশের বেশি। এসব জেলায় সংক্রমণের হার অন্য যেকোনো জেলার তুলনায় বেশি।নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের দুটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুরোগবাহী এডিস মশার লার্ভা বেশি পরিমাণে পাওয়া গেছে। দুটি ওয়ার্ডের এলাকাগুলো হচ্ছে, মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোড, লালমাটিয়া, সায়দাবাদ এবং উত্তর যাত্রাবাড়ী।পরিচালক বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে সিটি করপোরেশনের যে সারভাইলেন্স টিম আছে তার সঙ্গে ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাড়িতে জরিপ চালানো হয়েছে। গত ১ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সেই জরিপ পরিচালিত হয়েছে। আমাদের সাতটি টিম অংশ নিয়ে এক হাজার ১২টি বাড়িতে জরিপ চালিয়েছে। সেখানে ২৬০টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এ সময় আমরা দেখেছি যে, কন্সট্রাকশন সাইটের মেঝেতে জমা পানি, প্লাস্টিকের ড্রাম, বালতি, পানির ট্যাংক, ফুলের টব, ট্রে, প্লাস্টিকের বোতল, লিফটের গর্ত যেখানে থাকে, সেখানে আমরা এডিস মশার উপস্থিতি পেয়েছি।নাজমুল আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড (ইকবাল রোড–লালমাটিয়া) এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড (সায়দাবাদ-উত্তর যাত্রাবাড়ী) দুটি ইনডেক্সে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। এসব জায়গায় আমরা যদি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করি তাহলে কিন্তু ডেঙ্গু পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের ভেতরে থেকে যায়।

Share.