তামাকজাতীয় পণ্য বর্জন করার সহজ কৌশল

0

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ১৯৮৭ সালের ৩১ মে তামাক বর্জনের উদ্দেশ্যে বিশ্বে প্রথমবার ‘ওয়ার্ল্ড নো টোব্যাকো ডে’ বা বিশ্ব তামাক বর্জন দিবস পালন করা হয়। চিকিৎসক এবং গবেষকদের পরিসংখ্যান বলছে, ধূমপানের কারণে সারা বিশ্বে প্রতি বছর ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে যারা ধূমপান করেন না, তাদের থেকে ধূমপায়ীদের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।সহজ কিছু পদ্ধতি মেনে চললে তামাকদ্বারা মৃত্যুসহ তামাকজনিত রোগের প্রবণতা কমানো সম্ভব। তামাক বর্জনের জন্য সর্ব প্রথম কিছু পরিকল্পনা প্রয়োজন। যারা তামাক বা ধূমপান করেন তারা নেশার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে যান। তাই প্রথমেই সরাসরি তামাক বর্জন করা সম্ভব নয়।শুরুর দিকে একদিনের জন্য এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এরপর একদিন থেকে তা বাড়িয়ে দুইদিন, তারপর তিনদিন করতে হবে। আর এভাবেই ধারাবাহিকভাবে তা সপ্তাহ থেকে মাস এবং মাস থেকে বছরব্যাপী নিয়ে আসতে হবে। তবে শুরুর দিকে এক মাস যদি এই অভ্যাস মেনে চলা যায় তাহলে তামাক বর্জন খুবই সহজ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে তামাক বর্জনের ফলে মাথা ব্যথা থেকে মানসিক উত্তেজনাও অনেকটা কমবে।যেখানে অবস্থান করবেন অবশ্যই তার আশপাশে তামাকজাতীয় কোনো পণ্য রাখবেন না। তাই যেকোনো কাজে থাকার ফলেও ওই বিষয়টি আপনার মনেই পড়বে না। তামাক বর্জন করলেও অনেকে আবার ধূমপান করেন। এতে নিকোটিন গাম বা লজেন্স খাওয়া যেতে পারে। এভাবেই ধীরে ধীরে তামাক বর্জন করা সম্ভব। যদিও এসবে তামাক রয়েছে তবে তা তুলনামূলক অনেক কম।নতুন কোনো অভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রিয়জনের পাশে থাকা খুবই প্রয়োজন। তামাক বর্জনের ব্যাপারেও তাই। যারা তামাক সেবন বন্ধ করতে ইচ্ছুক তাদের পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই তার পাশে থাকতে হবে। তামাক বর্জনে তাকে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। এছাড়াও এই সময় পরিবারের আরও নজর রাখা উচিত যে, তামাক বর্জন করতে গিয়ে সন্তান যেন আবার অন্য কোনো নেশায় আসক্ত না হয়ে পড়ে।

Share.