থানায় না নিয়ে স্বামীর লাশ ‘রেল লাইনে ফেলল’ স্ত্রী

0

ঢাকা অফিস: স্বামীর লাশ রেল লাইনের পাশে ‘ফেলে গেলেন’ স্ত্রী। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুমি আক্তার (২৪), চট্টগ্রামের হাবিবুর রহমান ফারুক (২২), চাপাচৌ গ্রামের সিএনজি চালক রুহুল আমিনকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ২৪ ডিসেম্বর উপজেলার আলকরা-কেন্দুয়া রাস্তার মাথায় রেললাইনের পাশ থেকে ২৫ বছর বয়সী এক অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে চৌদ্দগ্রাম এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলার তদন্তে থাকা এসআই মনির হোসেন মঙ্গলবার জানান, মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহত যুবকের পরিচয় উদ্ধার করা হয়। নিহত শায়েস্তা খান চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ উপজেলার মেহেদীনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। পরে জানা যায়, নিহত যুবকের শ্বশুর বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের বাকগ্রামে। তিনি ওই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন। ‘মৃত্যুর আগের দিন শায়েস্তা খান শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। কিন্তু তার স্ত্রী সুমি আক্তার গুনবতী ইউনিয়নের চাপাচৌ গ্রামের শহীদুল্লাহর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সুমি আক্তার নৃত্য শিল্পী হিসেবে পরিচিত।’ এসআই জানান, শায়েস্তা খানের মৃত্যুর আগের দিন স্ত্রী সুমির ভাড়া বাসায় ওঠেন। আশপাশের লোকজন ও বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, ২৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে সুমি আক্তার বাড়ির আশপাশের লোকজনকে ডেকে বলে তার স্বামী শায়েস্তা খান আত্মহত্যা করেছে। এ সময় লোকজন গিয়ে শায়েস্তা খানের ঝুলন্ত লাশ সুমির ঘরে দেখতে পায়।পরে বাড়ির মালিক শহিদুল্লাহ সুমিকে লাশ থানায় অথবা তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু সুমি আক্তার লাশটি থানায় বা তার বাবার বাড়িতে না নিয়ে গ্রেপ্তারদের সহযোগিতায় রেললাইনের পাশে রেখে চলে যায়। ‘গত ৫ জানুয়ারি আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওই এসআই। চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, শায়েস্তা খানের মৃত্যু নিয়ে চারজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Share.