দুই শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় ১০ দিন পর মামলা

0

ঢাকা অফিস: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বিষ্ণাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনার ১০ দিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ। শনিবার সকালে সোনারগাঁ থানায় এ মামলা হয়েছে। ঘটনার ১০ দিন পর মামলা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকরা। সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বিষ্ণাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় যুব সমাজের উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওয়াজ মাহফিলের সময় বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় ৫০টিরও বেশি দোকান বসায় ওই এলাকায় বখাটে ইলিয়াস মোল্লা ও নুরুল ইসলাম। বিষয়টি ওই স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনিছুজ্জামান মুকুল ও এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে স্কুল মাঠ থেকে ওই দোকানগুলো সরিয়ে দেয় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুরে ওই এলাকার সাহেব আলীর ছেলে ইলিয়াস মোল্লা ওরফে ইব্রাহিম মোল্লা, ওসমান মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম ও নিলুফাসহ ৫-৭ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে স্কুলে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম ও সহকারী শিক্ষক মনিরা সুলতানাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহত মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘স্কুলের কাউকে না জানিয়ে ইলিয়াস মোল্লা টাকা নিয়ে স্কুলের মাঠে ৫০টির বেশি দোকান বসিয়েছে। দোকানের জন্য স্কুলে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। বিষয়টি পরিচালনা কমিটিকে জানানো হলে স্কুলের পক্ষ থেকে দোকানগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমাকে ও এক শিক্ষিকাকে পিটিয়ে আহত করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। এর আগেও ইলিয়াস মোল্লার ইভটিজিংয়ের কারণে স্কুলের দুই নারী শিক্ষক অন্য জায়গায় বদলি হয়ে গেছে। বিষয়টি পরিচালনা কমিটির সবাইকে জানানো হয়েছে।’ সোনারগাঁ উপজেলা প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘দুই শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। দীর্ঘ ১০ দিন পর মামলা গ্রহণের বিষয়টি রহস্যজনক। আসামিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’ সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। তদন্তের ধীরগতি থাকায় মামলা নিতে দেরি হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।’

Share.