দেবদাসের চন্দ্রমুখী সাজে সাজলেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী রোজিনা

0

বিনোদন ডেস্ক: ১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান কিংবদন্তী অভিনেত্রী রোজিনা। এফ কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই গুণী নায়িকা। ক্যারিয়ারে অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন রোজিনা। চলচ্চিত্রে কাজের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র পরিচালনা করছেন রোজিনা সিনেমাটির নাম ‘ফিরে দেখা’। সরকারি অনুদানের এ সিনেমায় অভিনয় করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, নিরব ও অর্চিতা স্পশিয়াসহ অনেকে। অভিনয় করছেন রোজিনা নিজেও। এর আগে নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রোজিনা ফিল্মসের ব্যানারে ‘দোলনা’, ‘জীবনধারা’, ‘রাধাকৃষ্ণ’ সহ অনেক সিনেমা নির্মাণ করেছেন গুণী এই নায়িকা।

চলচ্চিত্রের বাইরেও বর্তমানে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন কিংবদন্তী এই নায়িকা। কখনো নববধূর সাজে, কখনো ফ্যাশন হাউজের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে অথবা ফ্যাশন মডেল হিসেবে ফটোশুটে অংশ নিতে দেখা যায় নায়িকা রোজিনাকে। সম্প্রতি জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার এডলফ খানের পরিচালনায় ও মনির’স বিউটি লাউঞ্জের আয়োজনে। ভিন্ন এক রূপে দেখা গেল এই নায়িকাকে। সোনালী রঙের লেহেঙ্গায় দেবদাসের চন্দ্রমুখীর সাজে সেজেছেন নায়িকা রোজিনা।

এডলফ খান বলেন, আমার প্রিয় একজন অভিনেত্রী হচ্ছেন মাধুরী দিক্ষিত আর প্রিয় চরিত্র হচ্ছে চন্দ্রমুখী, আর আমার বাংলাদেশে আমার প্রিয় নায়িকা রোজিনা আপু। ভারতীয় সিনেমা ‘দেবদাস’ এ শাহ্‌রুখ খানের বিপরীতে চন্দ্রমুখী চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাধুরী দিক্ষিত, সেই সিনেমার ‘মার ঢালা’ গানের অভিনেত্রী মাধুরীর সাজে সাজানো হয়েছে রোজিনা আপুকে, আমরা নতুন করে দেবদাসের চন্দ্রমুখীর সেই লুকটা রোজিনা আপুকে দেওয়ার চেষ্টা করেছি, তাকে বেশ সুন্দর লাগছে এই লুকে।

এ বিষয়ে রোজিনা বলেন, ‘নতুন রূপে নিজেকে দেখে খুব ভালো লাগছে। কতটা ভালো লাগছে তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এডলফ’র সাথে এর আগেও কাজ করেছি আমি, সে যে কাজ করে খুব নিখুত ভাবে করে, মনিরের মেকাপ ছিলও খুবই ন্যাচারাল একদম স্মুথ আমার খব ভালো লেগেছে।

উল্লেখ্য, নায়িকা রোজিনা অভিনীত জনপ্রিয় ব্যবসা সফল সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘বিনি সুতর মালা’, ‘দোলনা’, ‘রসের বাইদানি’, ‘রাজিয়া সুলতানা’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘তাসের ঘর’, ‘হাসু আমার হাসু’, ‘হিসাব চাই’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কসাই’, ‘জীবনধারা’, ‘চোর পুলিশ ডাকাত’। ১৯৮৮ সালে ‘কসাই’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এই কিংবদন্তী নায়িকা।

Share.