‘দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল সেনাশাসক জিয়া’: কাদের

0

ঢাকা অফিস:   আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এ দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত। বিএনপি নির্বাচনের কফিনে বারবার গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়েছিল।’ আজ শনিবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭৮ সালের ৩ জুন জিয়াউর রহমান কোন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিল? সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল সেনাশাসক জিয়া। তার আগে ১৯৭৭ সালে হ্যা-না ভোটের নামে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল।’ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তীব্র সমালোচনা আর মিথ্যাচারের তীর ছুঁড়ে এবং দলীয়ভাবে আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রেখে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি?’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নাকি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, কর্মীরা প্রাণ দিচ্ছে। সর্বশেষ জাতীয় প্রেসক্লাবে তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের চেয়ার ছোড়াছুড়ি দেশবাসী দেখেছে! এভাবেই কি তারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে?’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম করেছিল। বিএনপি অতীত ভুলে গেলেও দেশের মানুষ ঠিকই মনে রেখেছে। বিএনপির কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু, ক্ষমতা ফিরে পেতে তাই তো মরিয়া হয়ে আছে। আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি ত্যাগের, এজন্যই জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল।’এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এ সময় তিনি শেখ হাসিনা সরকারকে পরিবেশ বান্ধব সরকার উল্লেখ করে বলেন, ‘পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে সরকার নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আগামী পাঁচ বছরে দেশের ২২ থেকে ২৪ ভাগ অঞ্চল গাছপালায় আচ্ছাদিত করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার দেশব্যাপী তিন কোটি গাছের চারা রোপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ সম্মাননা পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীর জানার সুযোগ হলো, বাংলাদেশের জনগণ প্রকৃতির প্রতিকূলতার মধ্যে শুধু টিকে থাকতে জানে না বরং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকিগুলো দক্ষভাবে মোকাবেলা করার সুদূরপ্রসারী কর্মকৌশলও নিতে পারে।”বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য পরিবেশবিদেরা।

Share.