ধামরাইয়ে বিজয় টিভির সাংবাদিক হত্যা : যুবলীগ নেতা বহিষ্কার

0

ঢাকা অফিস: ঢাকার ধামরাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও বিজয় টিভির প্রতিনিধি জুলহাস উদ্দিন হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে মোয়াজ্জেম হোসেনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম হোসেনকে সদর উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রাজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান জনি জানান, কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায়ভার যুবলীগ বহন করবে না। যুবলীগ কোনো অপরাধ বা অপরাধীকে সমর্থন কিংবা প্রশ্রয় দেয় না।নিহত জুলহাসের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ধামরাইয়ের বাড়বাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনকে। এ সময় শাহিন ও মোয়াজ্জেম নামের দুই খুনিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিরচর গ্রামে। তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক।ঘটনার পরের দিন শুক্রবার নিহতের বোন রিনা আক্তার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় শাহিন ও মোয়াজ্জেমসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার বাকি আসামিরা হলেন মানিকগঞ্জ জেলা সদরের বারাহিরচর গ্রামের ও নিহত জুলহাস উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. শাহিন (৩৫), একই এলাকার আনিস (৩৪), ধামরাইয়ের চারিপারা গ্রামের আল মামুন (৩৮) ও আবদুল মালেক (৪০)।এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত শাহিন ও মোয়াজ্জেমকে চার দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Share.