নতুন বাজেটে দরিদ্র্য বিমোচন গুরুত্ব পাবে

0

ঢাকা অফিস: দরিদ্র্য বিমোচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার। সরকারের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রণীত হচ্ছে বাজেট। সেইসঙ্গে করোনা মহামারি, ইউরোপের যুদ্ধ ও বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতি বিবেচনায়, বাজেটে করের বোঝা না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ফলে স্বস্তি পাবেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ আয়ের মানুষ। জনকণ্ঠকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন স্কোয়াড্রন লীডার (অব.) সাদরুল আহমেদ খান। তিনি বলেন, করোনা-পরবর্তী অবস্থা ও ইউরোপে যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন দ্রব্যের দাম বেড়েছে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। তাই, আসন্ন বাজেটে নিম্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে রেকর্ড পরিমাণ ভর্তুকি রাখা হচ্ছে। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৩ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা। তন্মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ১৮ হাজার কোটি টাকা, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি মূল্য পরিশোধ ও প্রণোদনা প্যাকেজের সুদ ভর্তুকি বাবদ ১৭ হাজার ৩০০ কোটি, খাদ্য ভর্তুকি ৬ হাজার ৭৪৫ কোটি এবং কৃষি প্রণোদনা বাবদ ১৫ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য ভর্তুকি বাবদ মোট ৬ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা লাগতে পারে। সাদরুল আহমেদ খান বলেন, করোনাভাইরাস সংকট পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে প্রধান্য দিয়ে বাজেট প্রস্তাবনা করা হচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কৃষককে সার, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণে প্রণোদনা অব্যাহত রাখবে সরকার। কৃষি পণ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে ৪% সুদে কৃষি ঋণ বিতরণের আদেশ দেয়া হয়েছে ইতোমধ্যেই রাসায়নিক সারের দাম বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সারের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাজেটে সার প্রণোদনা (ভর্তুকি) ১৫ হাজার কোটি টাকা রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তায় ১৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তায় ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ, কাবিখা, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিও রয়েছে এবং উপকারভোগীর সংখ্যাও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, ভোজ্য তেল উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীল হবার লক্ষে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশে প্রতি বছর ভোজ্যতেলের চাহিদা ২০ লক্ষ টন, চাহিদার ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। অথচ রাইস ব্রান ওয়েল বা সরিষা তেলের উৎপাদন বাড়াতে পারলে এ নির্ভরতা ৫০ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব।

 

Share.