নববর্ষের দিনে বাংলাদেশে জন্ম নিবে ৮ হাজার শিশু

0

ডেস্ক রিপোর্ট: জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) জানিয়েছে ইংরেজি নতুন বছরের শুরুর দিনে প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার ৭৮টি শিশু মাতৃগর্ভ ছেড়ে পৃথিবীতে আসবে, যার মধ্যে প্রায় ৮ হাজার ৯৩টি শিশু বাংলাদেশে জন্ম নেবে। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি। সংস্থাটির নির্বাহী রিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, “নতুন বছর ও নতুন দশকের সূচনা কেবল আমাদের নয়, উত্তরসূরীদের ভবিষ্যতের প্রতিও আমাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষাগুলো প্রতিফলিত করার সুযোগ। “সুযোগ পেলে প্রতিটি শিশু যে সব ধরনের সম্ভাব্যতা ও সম্ভাবনা নিয়ে তার জীবনযাত্রা শুরু করতে সক্ষম প্রতি জানুয়ারিতে ক্যালেন্ডারের বদলে যাওয়ার দিনটি আমাদের সেকথা স্মরণ করিয়ে দেয়।” ইউনিসেফের ধারণা, ২০২০ সালের প্রথম শিশুটির জন্ম হবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ফিজিতে; যুক্তরাষ্ট্রে হবে শেষ শিশুটির জন্ম। প্রায় চার লাখ নবজাতকের মধ্যে আটটি দেশেই জন্ম নেবে অর্ধেকের বেশি শিশু। এগুলো হলো: ১. ভারত – ৬৭,৩৮৫, ২. চীন – ৪৬,২৯৯, ৩. নাইজেরিয়া – ২৬,০৩৯ ৪. পাকিস্তান – ১৬,৭৮৭, ৫. ইন্দোনেশিয়া – ১৩,০২০, ৬. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – ১০,৪৫২, ৭. গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো – ১০,২৪৭, ৮. ইথিওপিয়া – ৮,৪৯৩ প্রতি জানুয়ারিতে নববর্ষের দিনটি বিশ্বজুড়ে শিশু জন্মগ্রহণের জন্য একটি শুভ দিন, যে দিনে ইউনিসেফ শিশুদের জন্ম উদযাপন করে। যদিও লাখ লাখ নবজাতকের জন্য জন্মের দিনটি খুব একটা শুভ হয়ে দেখা দেয় না। ইউনিসেফ বলছে, ২০১৮ সালে জন্মের মাসখানেকের মধ্যে ২৫ লাখ নবজাতকের মৃত্যু হয়, যাদের প্রায় এক তৃতীয়াংশই একদিনের বেশি বাঁচেনি। এদের বেশিরভাগ অপরিপক্ক প্রসব, প্রসবকালীন জটিলতা ও সেপসিসের সংক্রমণের মতো প্রতিরোধযোগ্য কারণে মারা যায়। এছাড়াও বছরে ২৫ লাখের বেশি মৃত শিশুর জন্ম হয়। গত তিন দশকে বিশ্বজুড়ে শিশুদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে এবং বিশ্বজুড়ে পঞ্চম জন্মদিনের আগেই মৃত্যুবরণ করা শিশুদের সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। তবে নবজাতকদের ক্ষেত্রে অগ্রগতি বেশ ধীর। ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী যত শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৪৭ শতাংশই মারা গেছে তাদের জন্মের প্রথম মাসে, যা ১৯৯০ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। ববগর্ভাবস্থা, প্রসব ও জন্মকালীন জটিলতা প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রত্যেক মা ও শিশুর যত্নে সদাপ্রস্তুত স্বাস্থ্যকর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ তাদের পেছনে জরুরি বিনিয়োগের আহ্বান জানায় ইউনিসেফের ‘এভরি চাইল্ড এলাইভ প্রচারাভিযান’। হেনরিয়েটা ফোর বলেন, “বেশিরভাগ মা ও নবজাতকই প্রশিক্ষিত এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম হাতে প্রস্তুত ধাত্রী বা নার্সের যত্ন পায় না, যার ফলাফল হয় খুব ভয়াবহ। প্রতিটি শিশুর জন্ম এক জোড়া নিরাপদ হাতের তত্ত্বাবধানে হলে আমরা নিশ্চিত হতে পারব, লাখ লাখ শিশু তাদের জন্মের প্রথম দিন বেঁচে থাকতে পারবে এবং এই দশক ও তার পরেও অনেক বছর বাঁচতে পারবে।” উপাত্তের জন্য ইউনিসেফ ওয়ার্ল্ড ডেটা ল্যাবের সঙ্গে কাজ করেছে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করা শিশুর হিসাব জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনার (২০১৯) সাম্প্রতিক সংস্করণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এই উপাত্তসমূহের ওপর ভিত্তি করে ওয়ার্ল্ড ডেটা ল্যাবের (ডব্লিউডিএল) গণনা প্রকল্প প্রতিটি দেশে প্রতিদিন জন্মগ্রহণ করা শিশুর সংখ্যার সম্ভাব্য হিসাব তৈরি করেছে।

Share.