নবীগঞ্জে রাস্তার বেহালদশা

0

বাংলাদেশ থেকে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড়বাকৈর ইউনিয়নের বড়বাকৈর গ্রামের সড়কের প্রায় ৪.৫ কিলোমিটার রাস্তা বেহালদশা।জনপ্রতিনিধিদের আশার বাণী শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষকে। সড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে অভিযোগ রয়েছে, ওই সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় সড়কের অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে প্রায়ই সড়কে যানবাহন ও পথচারীরা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। সড়কের এই বেহালদশা দেখার যেন কেউ নেই। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে বেহালদশা বিরাজ করছে। এর মধ্যে বৃষ্টি হলে পানি জমে গর্তগুলোতে কাদা, নর্দমা একাকার হয়ে সড়কটি যেন পুকুরে পরিণত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড়বাখৈর থেকে নবীগঞ্জ পৌরশহর ও ইনাতগঞ্জ বাজারের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক। এমন কি ওই গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এই সড়কটি এই গ্রাম থেকে প্রায় ৫শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, জে,কে মডেল উচ্চবিদ্যালয়, হিরা মিয়া গাল্স হাই স্কুল,ইনাতগঞ্জ কলেজ,মাদ্রাসায় যাওয়া আসা করে। কিন্তু প্রায় ১২ আগে ইটসলিং করা হয়েছিল ১২ বছরের ও বেশি সময় ধরে সড়কের বেশিরভাগ অংশে ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এতে যানবাহন চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে যেন পুকুরে পরিণত হয়ে যায় সড়কটি খানাখন্দের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।এতে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ ছাড়া সড়কে যানবাহনগুলো সড়কের ভাঙার কারণে দুর্ঘটনায় পড়ছে।এ জন্য ওই সড়কে যানচলাচল আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে। কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্র এই প্রতিবেদককে জানায়, আমরা প্রায় ৪.৫ কি.মি. পায়ে হেঁটে পাকা রাস্তায় গিয়ে গাড়িতে উঠে কলেজে যাই, কারণ আমাদের চলাচলের প্রধান এই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যে, যেখানে যেতে ২০/২৫ মিনিটে কলেজে পৌঁছার কথা সেখানে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। সড়কের দশা বেহাল হওয়ায় আগের মতো গাড়ি পাওয়া যায় না, তাই অপেক্ষা করে সময় নষ্ট না করে আমরা পায়ে হেঁটেই কলেজে যাই। চরম বিপাকে পড়তে হয় পরীক্ষার সময়। কারণ পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হওয়া যায় না। তাই রাস্তা মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রদক্ষেপ নেয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। স্কুলে যাতায়াতের প্রধান সমস্যা কি এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এক ছাত্র জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ রাস্তার অনেক বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের মধ্যে ময়লা জমে থাকে। ময়লা পানিতে কাপড় নোংরা হয়ে যায়।স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় ১২ আগে ইটসলিং করা হয়েছিল ১২ বছরের ও বেশি সময় ধরে সড়কের বেশিরভাগ অংশে ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এতে যানবাহন চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। মা,বোনেরা গর্ভবতী হলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অনেক অসুবিধায় পড়তে হয় এলাকাবাসীকে।গর্ভবতী মা,বোনদের জন্য এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলে বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে।গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সটি পর্যন্ত রাস্তায় আসতে ভয় পায়। তাই সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।

Share.