নভেম্বরে খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষামন্ত্রীর ইঙ্গিত

0

ঢাকা অফিস: করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আগামী নভেম্বর মাসেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না- এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বুধবার মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি এই ইঙ্গিত দেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া অন্যসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখনো যে অবস্থা তাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে খুলেছে সেখানেও বন্ধের পথে আছে। যেহেতু শীতকাল নিয়ে এক ধরনের দুশ্চিন্তা আছে সব জায়গায়, সেই কারণে আমরা কোভিড বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা যখন মনে করব শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই এবং যে ঝুঁকিটুকু নেওয়া সম্ভব সে পরিস্থিতি হলে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারব। সেটি কবে হবে এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে হবে কি না, সে বিষয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের যেটি প্রচেষ্টা ছিলে গত কয়েক বছর ধরে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা; আমরা মনে করি এ বছর যে বাস্তবতা তাতে এই সমন্বিত পরীক্ষাটি সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সারা দেশব্যাপী স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করা সম্ভব। কারণ, প্রতি জেলায় জেলায় যদি পরীক্ষা হয় এবং সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আছেন তারাই নানানভাবে উপস্থিত থেকে এটার মান নিশ্চিত করতে পারেন।’ ‘আমাদের ধারণা এটা করা সম্ভব। গত বছর সমন্বিত পরীক্ষার বিষয়ে কয়েকটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল, বাকিরা কিন্তু আপত্তি জানায়নি। মেডিকেলে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হয়, এবার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কী পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দেব। এটি নিয়েও আমাদের আলোচনা চলছে’, যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।

Share.