নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন,শাশুড়িকে জামাইয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটকের অভিযোগ

0

বাংলাদেশ থেকে নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে কুলসুম বেগম (৬০) নামে এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পমপাথুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করেছে। নির্যাতিত কুলসুম বেগম ওই এলাকার মৃত সুরত আলীর স্ত্রী। গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন জানান, কুলসুম বেগমের স্বামী সুরত আলী অনেক আগে মারা গেছেন। তার চার মেয়ে সন্তান আছে। মেঝো মেয়ে রফেলার বিয়ের পর থেকেই তার নিজ বাড়িতে জামাই নিয়ে বসবাস করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় লোকজন শাশুড়িকে জামাইয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেছেন- এমন অভিযোগ এনে ওই নারীকে হেনস্থা করেছেন দুই যুবক। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ওই নারী ও তার জামাইকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় ওই নারীকে স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া গেছে। ওসি আব্দুল মতিন বলেন, ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুলসুম বেগম বলেন, আমার ছোট মেয়ের বাচ্চা হওয়ার কারণে মেঝো মেয়ে রফেলাসহ অন্য মেয়েরা তাকে দেখতে হাসপাতালে যায়। বাসায় আমি ও জামাই ছিলাম। হঠাৎ সন্ধ্যার দিকে গায়ে জ্বর এলে বিষয়টি জামাইকে বলি। এ অবস্থায় জামাই বাজারে গিয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ কিনে এনে আমাকে দিতে ঘরে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই প্রতিবেশী আলমের ছেলে রতন ও বকুলের ছেলে উজ্জল হইচই করতে থাকে। এসময় জামাইয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলাম বলে অপবাদ দেয়। একপর্যায়ে তারা কাদা পানির মধ্যে দিয়ে টেনে জনসম্মুখে বাড়ির বাইরে নিয়ে ডাব গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং মারধর করে। আমি তদন্ত করে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এদিকে অভিযুক্তরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা জামাই-শাশুড়ি অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত। মঙ্গলবার রাতে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছে। গাছে বেঁধে রাখা হলেও কোনো শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি।

Share.