নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের নিয়োগের সুপারিশ করার নির্দেশ

0

ঢাকা অফিস: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধনধারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এনটিআরসির চেয়ারম্যানকে ১৫ দিনের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত।বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ।রায় বাস্তবায়ন না করায় আদালত অবমাননার মামলার শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েক হাজার রিটকারীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এই সময়ে আদালত অবমাননার বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো শিক্ষক নিয়োগে কোনো বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবে না বলে আদেশে বলা হয়।ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ) সেদিন জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করবে।দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে কয়েকদিন আগেও আন্দোলন করেছেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। ১৪ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ের (এনটিআরসিএ) সামনে তাঁরা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এক থেকে ১৫তম ব্যাচের নিবন্ধনধারীরা হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে এবং মাথায় সাদা কাপড় ও মুখে কালো ফিতা বেঁধে এনটিআরসিএর সামনে জড়ো হন।নিয়োগপ্রত্যাশীরা জানান, সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫৭ হাজার শূন্য পদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অথচ নানা অজুহাতে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে না। দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য তাঁরা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছেন।

Share.