নির্বাচনী সহিংসতায় উত্তাল সার্বিয়া, টিয়ার গ্যাস এবং মরিচের স্প্রে নিক্ষেপ করেছে পুলিশ

0

ডেস্ক রিপোর্ট: কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কটের দাবীতে বিক্ষোভরত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস এবং মরিচের স্প্রে নিক্ষেপ করেছে সার্বিয়ার পুলিশ। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিক বিরোধী দলের এই আন্দোলনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ১৭ ডিসেম্বর সার্বিয়ায় অনুষ্ঠিত জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেশটির রাজধানী বেলগ্রেডে অবস্থিত সিটি হলে ঢোকার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নির্বাচনে জেতার জন্য প্রেসিডেন্ট ভুচিক অর্থ দিয়ে ভোট কিনেছেন এবং অবৈধভাবে ব্যালট পেপার দাখিল করিয়েছেন। ‘ভুচিক একজন চোর’ এবং ‘ভুচিক হলেন পুতিন’ স্লোগান দিয়ে সার্বিয়ার প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় তারা লাঠি এবং পাথর দিয়ে ভবনটির দরজা-জানালা ভাঙ্গার চেষ্টা করলে বিক্ষোভ দমনকারী পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়। ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদীয় মেজরিটি নিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় এসেছে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ভুচিকের দল সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টি। বিরোধী দলীয় জোট সার্বিয়া এগেইন্সট ভায়োলেন্স পেয়েছে ২৩.৫৬ শতাংশ ভোট এবং সোশ্যালিস্ট পার্টি অফ সার্বিয়া পেয়েছে ৬.৫৬ শতাংশ ভোট। সার্বিয়া এগেইন্সট ভায়োলেন্সের দাবী অনুযায়ী তাদেরই নির্বাচনে জেতার কথা ছিলো। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে সার্বিয়ায় বসবাসকারী অন্য দেশের নাগরিকদের দিয়ে ব্যালট পেপার দাখিল করানোর কথা উল্লেখ করেছে তারা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতি এক চিঠিতে সার্বিয়া এগেইন্সট ভায়োলেন্স ভুচিকের সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি, নির্বাচনী অনিয়মের তদন্ত করারও দাবী জানিয়েছে দলটি। দলটির নেতা নেবোসা জেলেনোভিক বলেন, সব জায়গায় পুলিশ আমাদেরকে ঘিরে রেখেছে। আমরা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখান করছি এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। এদিকে, পুনরায় নির্বাচন দেয়ার দাবী ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভুচিক। পাশাপাশি, নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগকে সর্বৈব মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সরকারদলীয় পিঙ্ক টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভুচিক বলেন, এই আন্দোলন কোনো বিপ্লব নয়। সরকারকে অস্থিতিশীল করার সকল চেষ্টা ব্যহত হবে। এই আন্দোলন সার্বিয়ার সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দখল করার এক চক্রান্ত এবং এর পেছনে বহির্শক্তির মদদ রয়েছে। বিক্ষোভ চলাকালীন ৩৫ জন ব্যক্তিকে আটক করেছে সার্বিয়ান পুলিশ।

Share.