ন্যাটোতে আর যোগ দিতে চাই না: জেলেনস্কি

0

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার বিষয়ে আর জোর দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এ ছাড়া, দোনবাস, লুহানস্ক এবং ক্রিমিয়া উপদ্বীপের মর্যাদা কী হবে তা নিয়ে মীমাংসার পথ বের করার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতেও প্রস্তুত বলে জানান জেলেনস্কি।মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দোভাষীর মাধ্যমে একটি সাক্ষাৎ দেন জেলেনস্কি। গত সোমবার রাতে তার সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়। সাক্ষাৎকারে তিনি ন্যাটোর সদস্যপদসহ যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। জেলেনস্কি বলেন,“দোনেস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে শুধুমাত্র রাশিয়া স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে অন্য কেউ নয়। তার পরেও এ দুটি প্রজাতন্ত্র এবং ক্রিমিয়া অঞ্চলের মর্যাদা কী হবে তা নিয়ে আলোচনা করে আমরা একটি সমাধানের পথ বের করতে পারি। এজন্য আমি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছি।” তবে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তার দেশের মানুষ সারাজীবন রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। উপস্থাপকের এক প্রশ্নে ন্যাটোর কড়া সমালোচনা করেন জেলেনস্কি। তার মতে, ন্যাটো বিতর্কিত বিষয়গুলোকে ভয় পায়। আর রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের ব্যাপারেও ন্যাটো শঙ্কিত। ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়া না পাওয়া সম্পর্কে জেলেনস্কি বলেন, তিনি এমন একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চান না, যে দেশটি হাঁটু গেড়ে কিছু ভিক্ষা করে। হাঁটু গেড়ে ভিক্ষা বলতে তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে ইঙ্গিত করেছেন। কারণ তারা রুশ হামলার প্রতিবাদে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। রুশ হামলার বিপরীতে সামরিক সহায়তা ও নো-ফ্লাই জোন ঘোষণার দাবি করলেও তা ঘোষণা থেকে বিরত থেকেছে ন্যাটো। তাদের যুক্তি, সামরিক সহায়তা ও নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করলে সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত শুরু হবে। উভয়ের মধ্যকার সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৃষ্টি করবে। যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইউক্রেনকে রাশিয়া যেসব শর্ত দিয়েছে, তার মধ্যে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়টি রয়েছে। পুতিন চান, এই দুটি এলাকাকে ইউক্রেন স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিক  এই দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিষয়ে একটা ‘আপস’ করার জন্য তিনি খোলামনে আছেন। এ নিয়ে সংলাপের জন্য তিনি খোলামনে রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমি নিরাপত্তা গ্যারান্টির কথা বলছি।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই দুটি অঞ্চলকে রাশিয়া ছাড়া আর কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। এই অঞ্চল দুটি কীভাবে থাকবে, সে বিষয়ে সমঝোতার উপায় খুঁজতে পারেন।

Share.