নড়াইলে ফিরে সাংবাদিকদের কাছে সাদাতের প্রতিক্রিয়া

0
বাংলাদেশ থেকে  নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের গর্ব ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ প্রাপ্ত সাদাত রহমান নড়াইলে ফিরেছে। শনিবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে নড়াইলে পৌঁছায় সাদাত রহমান। সঙ্গে ছিলেন তার বাবা-মা, নড়াইল আব্দুল হাই সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মল্লিক, সহকারী অধ্যাপক মলয় কান্তি নন্দী, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, সাধারণ সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুলুসহ ‘সাইবার টিনস’ ও নড়াইল ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরা। সাদাত প্রথমে নড়াইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্খীরা সাদাত রহমানকে কাছে পেয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। অনেকে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।  সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সাদাত রহমান জানায়, ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ প্রাপ্তিতে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেড়ে গেছে। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শুধু নড়াইল  জেলায়ই এ কার্যক্রম চলবে না। এখন থেকে ৬৪ জেলাতেই এ কাজ করবে সাদাত রহমান। এমনকি বিশ্বব্যাপী এ কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়া হবে। এছাড়া পুরস্কারের সঙ্গে যে এক লাখ ইউরো পেয়েছে, সেই অর্থ পুরোটাই ‘সাইবার টিনস’ অ্যাপ প্রসারের ক্ষেত্রে কাজ করতে চায় সাদাত। এ কাজের জন্য নড়াইল জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং সাইবার টিনসের সদস্যদের ধন্যবাদ জানায় সাদাত রহমান।  তার বাবা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সাদাত ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটারসহ তথ্য প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। পরিবার থেকেও এ কাজে তাকে উৎসাহ দিয়েছি।  মা মলিনা বেগম বলেন, এ পুরস্কার প্রাপ্তির আনন্দ-অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। দেশবাসীসহ প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় সাদাত এ পুরস্কার অর্জন করেছে।গত ১৩ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগে ‘কিডস রাইটস’ এর উদ্যোগে সাদাত রহমানকে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই ভারচুয়াল ভাবে ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ তুলে দেন।  ‘সাইবার অপরাধ’ থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে বিশ্বমঞ্চের তালিকাতে যুক্ত হয়েছেন ১৭ বছর বয়সী এই কিশোর। বন্ধুদের সহযোগিতায় ‘সাইবার টিনস’ মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে ‘সাইবার অপরাধ’ থেকে শিশুদের সুরক্ষায় ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর থেকে কাজ করে যাচ্ছে সাদাত রহমান।সাদাত জানায়, ‘কিডস রাইটস’ ভবিষ্যতে তার পড়ালেখার ব্যয়ভার গ্রহণ করেছে। এছাড়া ওয়ালটন কোম্পানি এ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছে। ইউনিভারসিটি অব প্রোফেশনালসের ভাইস-চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সরোয়ার হাসান ভবিষ্যতে সব ধরনের সযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। পারিবারিক ও বন্ধুদের সূত্রে জানা যায়, সাদাত রহমানের বাড়ি মাগুরা জেলা সদরের আলোকদিয়া গ্রামে। তার বাবা সাখাওয়াত হোসেন, মা মলিনা বেগম গৃহিণী। তার বাবা এক সময় নড়াইল জেলা ডাকঘরের প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে কুষ্টিয়া ডাকঘরে কর্মরত। সাদাত রহমান নবম শ্রেণি থেকে নড়াইলে পড়ালেখা করছে। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সাদাত রহমান বর্তমানে নড়াইলের আব্দুল হাই সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।
Share.