ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের কথিত নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি-র বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধীকরণ বা কথিত নাগরিকপঞ্জি চালু করার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। তাই এখানে বন্দিশিবিরের কোনও প্রশ্নই আসে না। কেননা আমরা এর বিরোধী। সমালোচকরা বলছেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভারতে বসবাস করা সংখ্যালঘু মুসলমানদের দেশটি থেকে তাড়িয়ে দিতেই দেশজুড়ে কথিত নাগরিকপঞ্জি তৈরিতে মরিয়া কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুধু নাগরিকপঞ্জি নয়, তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলেরও (সিএবি) বিরোধিতা করছেন। ওই বিলটির মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া সব অমুসলিমদের দেশটির নাগরিকত্ব দিতে চায় কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এনআরসি-র পাশাপাশি আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলেরও বিরোধিতা করছি। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব কখনোই সম্ভব নয়। কে ভারতীয় আর কে বিদেশি তার মানদণ্ড ধর্ম হতে পারে না। গত ৮ জানুয়ারি নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিলটি ভারতের লোকসভায় পাস হয়। তবে রাজ্যসভায় এখনও পর্যন্ত বিরোধিতার জেরে এটি পাস করাতে পারেনি মোদি সরকার। যদিও কিছুদিন আগেই কলকাতায় এসে বিজেপি-র প্রভাবশালী নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, তৃণমূল যতই বিরোধিতা করুক পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ হবেই। এর পাল্টা জবাবে মমতা বলেন, দয়া করে বিভাজনের রাজনীতি ছড়াবেন না। মানুষের মধ্যে ফাটল ধরাবেন না। যুগে যুগেই বিভিন্ন আদর্শের নেতাদের সম্মান করে এসেছে বাংলা। এই ঐতিহ্য কখনোই লুণ্ঠিত হতে পারে না। সূত্র: এনডিটিভি।
পশ্চিমবঙ্গে কোনও নাগরিকপঞ্জি নয়, তাই বন্দিশিবির নিষ্প্রয়োজন: মমতা
0
Share.