ব্রেক্সিট চুক্তি: আলোচনার সময় বেঁধে দিতে জনসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রেক্সিট চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়ে আলোচনার জন্য তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর হতাশা প্রকাশ করে জনসন বলেছেন, এটা ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিল। দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর গত সপ্তাহে ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছে বরিস জনসনের সরকার। ৩১ অক্টোবরে প্রক্রিয়ামাফিক ব্রেক্সিট শেষ করতে হলে তার আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এটি অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। তাই তাড়াহুড়ো রয়েছে জনসনের। মঙ্গলবার সরকার প্রস্তাবিত ১১৫ পৃষ্ঠার চুক্তির খসড়া হাউস অব কমন্সে উত্থাপন করা হলে তা আলোচনার জন্য গ্রহণ করা হয়। ৩২৯টি ভোট পড়ে পক্ষে, ওই চুক্তির বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৯৯টি। কিন্তু আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যে প্রস্তাব তোলা হয়, তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। ভোটাভুটির পর জনসন বলেন, এমপিরা আরও দেরি করিয়ে দেওয়ায় তিনি হতাশ। এখন ইইউর পরবর্তী পদক্ষেপ দেখা পর্যন্ত তিনি তার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখবেন। ভোটের পর বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, জনসন নিজেই তার দুর্ভাগ্য লিখেছেন। তবে এই চুক্তির খসড়া নিয়ে পার্লামেন্টে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আলোচনায় রাজি থাকার কথাও জানান তিনি। অন্যদিকে এসএনপি নেতা ইয়ান ব্ল্যাকফোর্ড বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর জন্য আরেকটি নিদারুণ পরাজয়। এমপিরা তাকে জানিয়ে দিলেন, তিনি ঠিক পথে নেই। ব্রেক্সিটের জন্য নির্ধারিত ৩১ অক্টোবরের চূড়ান্ত সীমা পেছানোর জন্য ‘মরে গেলও’ তিনি কোনো অনুরোধ করতে পারবেন না বলে আগে জানিয়েছিলেন জনসন। কিন্তু গত মাসে পার্লামেন্টে বিরোধীদের পাস করা একটি আইন অনুযায়ী ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি (২০২০) পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে ইইউয়ের কাছে চিঠি পাঠাতে বাধ্য হন তিনি। তিনি হুমকিও দিয়েছিলেন, পার্লামেন্ট যদি তার এই বিল প্রত্যাখ্যান করে, তবে তিনি নতুন নির্বাচনের পথে হাঁটবেন।

Share.