পাঞ্জাবে জয়ের পর আগাম নির্বাচনের আহ্বান ইমরান খানের

0

ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে বড় জয়ের পর আবারো আগাম জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে বরখাস্ত হওয়ার পর পাঞ্জাবের ২০টি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়াকে ইমরান খানের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা হিসাবে দেখা হয়েছিল। তিনি সেটার প্রমাণ করতে পেরেছেন।বইতোমধ্যে উপনির্বাচনে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই জয় পেয়েছে। অপরদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএল-এন) চারটিতে জয় পেয়েছে এবং একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন। রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া ভোটকে ‘আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে’ এমন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি বেলওয়েদার হিসাবেও দেখা হয়েছিল। যদিও ইমরান খান বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে পূর্ববর্তী নির্বাচনের জন্য দেশজুড়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। সোমবার ভোট গণনা শেষে ইমরান খান টুইটে বলেন, এখান থেকে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করা। অন্য কোনো উপায় শুধু রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং আরও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার দিকে পরিচালিত করবে। এদিকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বহু জনসভা করেছেন ইমরান খান। দীর্ঘ বক্তৃতায় তিনি দাবি করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রের অধীনে পাকিস্তানের ওপর নতুন সরকার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বর্তমান সরকারকে মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করেছেন। যদিও বেশিরভাগ বিশ্লেষক বলছেন, শাহবাজ শরিফ উত্তরাধিকার সূত্রে দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশা পেয়েছেন। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তি করতে পেরেছেন তিনি। এদিকে সাতশো বিশ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা প্যাকেজ পুনরায় চালু করার জন্য আইএমএফের শর্ত পূরণ করতে শাহবাজ শরিফকে জ্বালানির ওপর ভর্তুকি অপসারণ করতে হয়েছিল। কার্যকরভাবে দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়িয়েছিল। আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা এড়াতে দেশটি বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর কাছ থেকে আরও ৮শ কোটি ডলার সহায়তা আশা করছে। পাকিস্তানের সংবাদপত্রগুলো পরামর্শ দিয়েছে, পাঞ্জাবের ফলাফলটি বর্তমানে দেশটির দ্বারা অনুভূত অর্থনৈতিক অসুবিধার ফলস্বরূপ। দেশটি তার আয়ের প্রায় অর্ধেক ব্যয় করছে ভয়ানক বৈদেশিক ঋণ সেবার জন্য।

Share.