ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর মাকে গুলি করে হত্যা করেছে। জানা গেছে, মোবাইল ফোনে পাবজি গেম খেলতে না দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটিয়েছে কিশোরটি স্থানীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএসের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পর দুই দিন ধরে মায়ের মরদেহ বাড়িতেই রেখে দিয়েছিল ওই কিশোর। ১০ বছরের বোনকে ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতেও বাধ্য করেছিল সে। কিশোরটির বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত। কর্মসূত্রে তিনি পশ্চিম বর্ধমানে থাকেন পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে মাকে খুনের দায় ইলেকট্রিশিয়ানকে দোষারোপ করে ওই কিশোর। পরে বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। পুলিশ সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে জানায়, মা ছেলেকে পাবজি গেম খেলতে বারণ করেন। এটি খেলার জন্য টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলেটি বাবার বন্দুক বের করে তার মাথায় গুলি করে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত তার বন্ধুদের পার্টি করতে ডেকেছিল এবং তাদের সে জানায়, তার মা এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ( ৭ জুন) যখন দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, তখন প্রতিবেশীদের একজন ছেলেটির বাবাকে ঘটনাটি জানায়। উত্তর প্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তা অর্চনা সিং আজ বুধবার (৮ জুন) বলেন, মৃত নারীর স্বামীর এক বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছিল যে তার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তারপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত কিশোরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।