পৈত্রিক ভিটা চাচাতো ভাইদের দখলে থাকায় ঝুপরি ঘরে বসবাস করছেন শাহজাহান ও তার পরিবার

0

বাংলাদেশ থেকে পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী সদর উপজেলার করমজাতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুপরি ঘরে বসবাস করে আসছে শাহজান এবং তার পরিবার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শাহজাহান একজন দীন মজুর অটোরিক্সা চালিয়ে চলে তার সংসার। বাস্তবে শাহজাহানের পৈত্রীক জমিজমা থাকলেও সেগুলো তার আপন চাচাত ভাইদের দখলে থাকায় শাহজান চরম অসহয় জীবন যাপন করছেন। এক প্রশ্শ্নের জবাবে শাহজাহান বলেন দীর্ঘদিন ধরে চাচাত ভাইদের সাথে একাধিক সিভিল, ক্রিমাল ঘরে আগুন দেয়াসহ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে হয়রানী করছেন শাহজাহানের চাচাত ভাই ক্ষ্যাত প্রভাবশালী দাঙ্গা হাঙ্গামাকারী ফরজুল হক মিরা,সামসুল হক মিরা,বজলে হক মিরা,সেরাজুল হক মিরা সহ আঃ হক মিরা। ঘটনার সুত্রপাত এদের পৈত্রিক সম্প্রতি নিয়ে, এ বিষয় ইতিপূর্বে একাধিক মামলা এবং শালিসি মিমাংসা হলেও ফরজুল হক মিরার পরিবারের বিরুদ্ধে শালিসি মিমাংসা না মানার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে ফরজুলের একটি সন্তান রয়েছে যার আচার আচরনে কিশোর গ্যাংয়ের শামিল। ঘটনার বিবরনে শাহজাহান জানায় এলাকায় একাধিক শালিস বৈঠক হলেও তাতে শাহজাহান তার পৈত্রিক সম্প্রতি পেলেও অভিযুক্ত ফরজুল গংদের প্রভাবের কারনে জমি দখলে যেতে বিরম্বনায় পরতে হচ্ছে শাহজাহান এর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্ত্রী সন্তানসহ একটি ঝুপরি ঘরে বসবাস করছেন শাহজাহান, এমনকি শাহজাহান বলছেন কিছু জমি বিক্রি করে ভালো একটি ঘর তৈরী করে শেষ বয়সে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করার কথা বল্লেও তার উপরে অমানুষিক নির্যাতন নেমে আসে। এ বিষয় পটুয়াখালী সদর থানায় একাধিক অভিযোগ করা হলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ শাহজাহানকে তার জমি বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয় আশ্বস্ত করেন। তাতেও কোন কর্নপাত করছেন না ফরজুল হক। পরি শেষে শাহজাহান কোন উপায় না পেয়ে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার, পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি, পিবি আই সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সহযোগিতা কামনা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানান। সেই সাথে তিনি আরও বলেন আমার এখন ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গিয়েছে, যদি আপনারা আমার পাওয়া জমি ফেরত দিতে না পারেন তাহলে আমাকে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেন,কারন আমি বেচে থেকে যদি আমার সন্তানদেরকে থাকারমত জায়গা এবং তাদের মুখে দু মুঠো খাবার তুলে দিতে নাপারি তাহলে আমার বেচে থেকে লাভ কি। তিনি আরও বলেন এ বিষয় তিনি অতিসত্বর পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার একান্ত সহযোগিতা কামনা করেন। সেই সাথে জেলা প্রশাসক মহোদয় পুলিশ সুপার সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।

Share.