ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল মাহমুদুল্লাহ একাদশ

0

স্পোর্টস ডেস্ক: বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল মাহমুদুল্লাহ একাদশ। টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ একাদশ ৪ উইকেটে হারিয়েছে তামিম একাদশকে। ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট মাহমুদুল্লাহ একাদশের। ৩ খেলায় ৪ পয়েন্ট নাজমুল একাদশেরও। ৩ খেলায় ২ পয়েন্ট তামিম একাদশের। আগামী ২১ অক্টোবর লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে লড়বে নাজমুল একাদশ ও তামিম একাদশ। ওই ম্যাচের পর পুরোপুরিভাবে ফাইনালের লাইন-আপ নিশ্চিত হবে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন তামিম একাদশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তরুণ খেলোয়াড় তানজীদ হাসান তামিমকে নিয়ে ইনিংস শুরু করেন তামিম। তৃতীয় ওভারেই ভাঙে এই জুটি। ১ রান করে মাহমুদুল্লাহ একাদশের পেসার রুবেল হোসেনের বলে বিদায় নেন জুনিয়র তামিম। পরের ওভারে বড় তামিমকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান আরেক পেসার আবু হায়দার রনি। ৯ রান করে আউট হন তামিম। ফলে ১১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তামিম একাদশ। এই চাপকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেন রুবেল। আনামুল হক বিজয়কে ১ ও মোহাম্মদ মিঠুনকে ২ রানে শিকার বানান রুবেল। ১৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে যায় তামিম একাদশ। এই কঠিন অবস্থা থেকে দলকে খেলায় ফেরান রাব্বি ও অঙ্কন। মাহমুদুল্লাহ একাদশের বোলারদের দেখেশুনে খেলে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন রাব্বি ও অঙ্কন। সর্তকতার সাথে ধীরলয়ে খেললেও, সফল হয়েছেন তারা। ১১১ রানের জুটি গড়েছেন রাব্বি ও অঙ্কন। জমে যাওয়া রাব্বি ও অঙ্কন জুটিতে ভাঙ্গতে পারছিলো না মাহমুদুল্লাহ একাদশের বোলাররা। তবে রান আউটের ফাঁদে পড়ে ভেঙ্গে যায় রাব্বি ও অঙ্কন জুটি। ৮১ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬২ রান করেন রাব্বি। রাব্বির বিদায়ের কিছুক্ষণ পর অঙ্কনকেও থামিয়ে দেন রুবেল। ১১০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৭ রান করেন অঙ্কন। ১২৮ রানে রাব্বি ও ১৪৪ রানে অঙ্কনের বিদায়ের পর দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন মোসাদ্দেক হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সপ্তম উইকেটে ৫৬ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন। মোসাদ্দেক ৩৯ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪০ রান করেন। ২৯ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৮ রান করেন সাইফুদ্দিন। ফলে ৮ উইকেটে ২২১ রান করেন তামিম একাদশ। মাহমুদুল্লাহ একাদশের রুবেল ১০ ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া এবাদত হোসেন ২টি ও রনি ১টি উইকেট নেন। ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ২২২ রানের টার্গেটে শুরুতেই ধাক্কা খায় মাহমুদুল্লাহ একাদশ। ৮ রানের মধ্যে ২ উইকেটের পতন ঘটে। নাইম শেখ ৩ ও লিটন দাস ৫ রান করে ফিরেন। দু’টি শিকার ভাগাভাগি করেছেন তামিম একাদশের দুই পেসার সাইফুদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর শুরুর ধাক্কাটা শক্ত হাতে সামাল দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান ও ইমরুল কায়েস। তৃতীয় উইকেটে ৮৪ রানের জুটি গড়েন তারা। ওয়ানডে স্টাইলেই খেলেছেন ইমরুল। কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় গিয়ে থামতে হয় তাকে। ৫৫ বলে ৭টি চারে ৪৯ রান করেন ইমরুল। এই জুটি ভাঙ্গেন খালেদ আহমেদ। টেস্ট মেজাজে খেলা মাহমুদুল হাফ-সেঞ্চুরি তুলে আউট হন। ১০১ বলে ৬টি চারে ৫৮ রান করে স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে ফিরেন মাহমুদুল। ১৪৮ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদুল বিদায় নেয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদুুল্লাহ রিয়াদ ও নুরুল হাসান সোহান। চতুর্থ উইকেটে মাহমুদুুলের সাথে ৫৬ রান যোগ করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। এরপর উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানকে দলকে জয়ের কাছাকাছি রেখে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ। ততক্ষনে ক্যাপ্টেন্স নক খেলে ফেলেছেন তিনি। ৮৭ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৭ রান করেন মাহমুদুল্লাহ।দলের জয় থেকে ৯ রান দূরে থাকতে থামেন মাহমুদুল্লাহ। অধিনায়কের আউটে ম্যাচ শেষ করে আসার সুযোগ পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান। সুযোগটি হাতছাড়া করেন তিনি। ৩ রান করে ফিরেন। তবে ৩৭ বলে অপরাজিত ২৬ রান করে ৫ বল বাকী থাকতে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন সোহান। খালি হাতে তার সঙ্গী ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তামিম একাদশের সাইফুদ্দিন ৪৯ রানে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মাহমুদুল্লাহ একাদশের রুবেল।

স্কোর কার্ড: তামিম একাদশ : ২২১/৮, ৫০ ওভার (রাব্বি ৬২, অঙ্কন ৫৭, মোসাদ্দেক ৪০, সাইফুদ্দিন ৩৮, রুবেল ৪/৩৪)। মাহমুদুল্লাহ একাদশ : ২২২/৬, ৪৯.১ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৬৭, মাহমুদুল ৫৮, ইমরুল ৪৯, সাইফুদ্দিন ৩/৪৯)। ফল: মাহমুদুল্লাহ একাদশ ৪ উইকেটে জয়ী।

Share.