‘বউ পেটানো’র দায় থেকে রেহাই পেলেন জনি

0

বিনোদন ডেস্ক: পাঁচ বছর আগে হলিউড অভিনেতা জনি ডেপের বিরুদ্ধে শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগে মামলা করেছিলেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। সে সময় তাদের ডিভোর্স হয়। অবশেষে ‘বউ পেটানো’র সেই অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন জনি। বুধবার তার পক্ষেই রায় দিয়েছে আদালত। সেই রায়ে আদালত মেনে নিয়েছে, জনিকে ‘কালিমালিপ্ত’ করার চেষ্টা করেছেন তার স্ত্রী অ্যাম্বার। যদিও আদালতের তরফ থেকে এটাও বলা হয়েছে, এই মামলা চলাকালীন জনি ডেপের আইনজীবীরা অ্যাম্বারের নামে কুৎসা রটিয়েছেন। এ জন্য তাদের সাবধান করে দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে অ্যাম্বারকে বিয়ে করেন জনি। ২০১৭ সালে তাদের ডিভোর্স হয়। সে সময় বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করতে গিয়ে জনির বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনেন অ্যাম্বার। জনি তাকে মারতেন, মাদক খেয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালাতেন ইত্যাদি। প্রমাণ হিসেবে নিজের ও জনির কিছু ছবিও পেশ করেন। জনির কাছ থেকে সে সময় ৭০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণও দাবি করেন অ্যাম্বার হার্ড। এরপর আদালতে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় জনি তার স্ত্রীকে মারধর করতেন। তার জেরে ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জনি। কিন্তু ২০২০ সালে সেই মামলায় তিনি হেরে যান। এদিকে, ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ এবং ‘ফ্যানটাস্টিক বিস্টস’-এর মতো বিখ্যাত সিরিজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জনিকে। একাধিক বিজ্ঞাপনের কাজও হাতছাড়া হয়। তারপর অ্যাম্বারের বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা করেন জনি। মিথ্যা অভিযোগ এনে সারাজীবন ধরে গড়ে তোলা তার ভাবমূর্তি এক নিমেষে অ্যাম্বার শেষ করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন। সেই মামলার রায়ই এলো বুধবার। আদালতে জনির আইনজীবীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, আসলে স্বামী উপরে অত্যাচার করতেন অ্যাম্বার নিজেই। সঙ্গে অডিও ক্লিপও পেশ করা হয়েছে। সেখানে জনিকে উদ্দেশ্য করে অ্যাম্বার বলছেন, ‘বাইরে গিয়ে বলো জনির বউ জনিকে মারে, কে বিশ্বাস করে দেখি!’ একাধিক প্রমাণ পেশ করা হয়েছিল জুরির সামনে। যেখানে অভিনেতার হয়ে কথা বলেছেন তার সাবেক প্রেমিক, বিভিন্ন হোটেল-রিসোর্টের কর্মীরা, যেসব জায়গায় জনি ও অ্যাম্বার একসঙ্গে ঘুরতে যেতেন। একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে অ্যাম্বারকে স্বীকার করতেও শোনা যায়, তিনি নিজে জনিকে মারধর করতেন। আদালতের রায়ের পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন অ্যাম্বার। অভিনেত্রী লিখেছেন, আদালতের রায় তাকে হতাশ করেছে। গার্হস্থ্য হিংসার শিকার নারীদের জন্য তা মোটেই সুখকর নয়। তবে বুধবার আদালত রায় দেওয়ার সময় তিনি চুপচাপ মাথা নীচু করেই বসে ছিলেন।

 

Share.