বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনিকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরে প্রচেষ্টা চলছে: কাদের

0

ঢাকা অফিস: বঙ্গবন্ধু পাঁচ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।শনিবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট নিহতদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই কথা বলেন।বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট চক্রান্তকারী কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের উল্টো যাত্রা শুরু হয়েছিল। খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, তাদের নানা পদ দিয়ে পুরস্কৃতও করা হয়েছিল।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনের বিচারকাজ শুরু হয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার তখনকার জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।আপিলের রায়ে এই ১৫ জনের মধ্যে তিনজন খালাস পান। যে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে উচ্চ আদালত, তাদের একজন আজিজ পাশা পলাতক থাকা অবস্থায় দেশের বাইরে মারা যান বলে খবর আসে। বাকি ১১ জনের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ, মহিউদ্দিন আহমদ, এ কে বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর হয় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকার কারাগারে। বাকি ছয়জন পলাতক থেকে যান। প্রায় ১০ বছর পর এই বছরের ৭ এপ্রিল ভোরে পলাতক ৬ জনের একজন ৭২ বছর বয়সী মাজেদকে ঢাকার গাবতলী থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। পরে কেরানীগঞ্জের কারাগারে ১২ এপ্রিল তার ফাঁসি কার্যকর হয়।এখনো পাঁচজন পলাতক আছেন। তাদের হলেন আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী।শনিবার সকালে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট নিহতদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে কুটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশ এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।১৫ আগস্ট কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিতর্ক এড়াতে কয়েকবছর ধরে জাতির শোকের এইদিনে জন্মদিন পালন করেননি বিএনপি প্রধান। যদিও এই দিনে তার জন্মদিন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক আছে। এবারেও জন্মদিন উপলক্ষে কেক না কেটে দোয়া-মাহফিলের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি।খালেদার জন্মদিন পালনের দিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় শোক দিবসে যারা জন্মদিন পালন করতো, সেটি এবার না করে কেক কাটার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসায় জনগণ স্বস্তি পেয়েছে।

Share.