বাঁধ ভেঙে ময়মনসিংহের ৩০ গ্রাম প্লাবিত

0

ঢাকা অফিস: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার ৩০ গ্রাম প্লাবিত। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর দিনযাপন করছে কয়েক হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বীজতলা। ভেসে গেছে মাছের ঘের। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি ধোবাউড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষের। বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেলেও এখনও পানিবন্দি ৩০ গ্রামের অন্তত ৫ হাজার পরিবার। পানির নিচে তলিয়ে আছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, বীজতলা। ভেসে গেছে শতশত পুকুরের মাছ। পানি নেমে যাওয়া এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। স্থানীয়রা সহায়তা নয়, নেতাই নদী পাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।দুর্ভোগে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামে পানি ঢুকেছে। এখনও তো আমরা পানির তলেই হাবুডুবু খাচ্ছি।তারা বলেন, প্রত্যেক বছরই আমরা বন্যায় এমন দুর্ভোগে পড়ি। আমাদের একটা বাঁধ দরকার। বাঁধ হলে চলাচলের জন্য রাস্তাও হবে।যুগে পর যুগ বাঁধের জন্য আবেদন করেও কোনা কাজ হয়নি বলে অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের।উপজেলার পুরাকান্দুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. এনামুল হক বলেন, নেতাই নদীর বাঁধটা আমাদের অতি প্রয়োজন। কিন্তু আমরা এটা পাচ্ছি।এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাফিকুজ্জামান বলেন, যারা বন্যা কবলিত আমরা তাদের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করছি। জেলা প্রশাসন থেকে ৫ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যেটা আমাদের কাছে মজুদ আছে। তা আমরা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করবো।গত বুধবার (৩০ জুন) ভোরে ধোবাউড়ার চারটি স্থানে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ৫টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা।

Share.