বাংলাদেশে আজ সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড ,২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১১৬২

0

ঢাকা অফিস: করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬৯ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো এক হাজার ১৬২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৭ হাজার ৮২২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত  বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজার ৯০০ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল সাত হাজার ১৬২ জনের। এর মধ্য থেকে এক হাজার ১৬২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। এ পর্যন্ত তিন হাজার ৩৬১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। এ ছাড়া আজ ৪১টি ল্যাবে করোনার পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন করে ঢাকায় দুটি ও ঢাকার বাইরে দুটিসহ মোট চারটি ল্যাব থেকে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া আজ ১০ বছরের নিচে এক শিশুর করোনায় মৃত্যু হয়েছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। বর্তমানে দেশে ১৭ হাজার ৮২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে এবং সর্বাধিক আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট এক লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৮ জনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ বুধবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৯২ হাজার ৯৭৩ জনে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৭ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯২ জন চিকিৎসাধীন এবং ৪৬ হাজার ৩৫০ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ লাখ চার হাজার ৯৮৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

Share.