বাগদাদির আটক স্ত্রীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে: তুরস্ক

0

ডেস্ক রিপোর্ট: তুরস্কের এক সরকারি কর্মকর্তা দাবি করেছেন, সে দেশে আটক আবু বকর আল বাগদাদির একজন স্ত্রীর কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে আঙ্কারা। বুধবার তুরস্ক দাবি করে, সম্প্রতি মার্কিন অভিযানের মুখে আত্মঘাতী হওয়া আইএস-এর শীর্ষ নেতার প্রথম স্ত্রী ও এক মেয়েকে ২০১৮ সালেই আটক করেছে তারা। গত ২৬ অক্টোবর সিরিয়ায় মার্কিন অভিযান চলাকালে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন বাগদাদি। পরে ওই অভিযানের স্যাটেলাইট ভিডিও প্রকাশ করে ওয়াশিংটন। সবশেষ ৩১ অক্টোবর আইএস-এর পক্ষ থেকেও বাগদাদি হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে জঙ্গিদের নতুন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়। বুধবার আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া এক ভাষণে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাগদাদি একটি সুড়ঙ্গের ভেতর আত্মঘাতী হয়েছেন। তারা এ বিষয়টি নিয়েই সংবাদমাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে। আমি এই প্রথম ঘোষণা করছি, আমরা বাগদাদির স্ত্রীকে আটক করেছি তবে মার্কিনিদের মতো এ নিয়ে হইচই করিনি। একইভাবে আমরা বাগদাদির বোন ও বোনের স্বামীকেও সিরিয়া থেকে আটক করেছি।’ বাগদাদির স্ত্রীকে কোথায় থেকে এবং কখন আটক করা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেননি এরদোয়ান। তবে বৃহস্পতিবার তুরস্কের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তার স্ত্রীর নাম রানিয়া মাহমুদ। তবে তার আসল নাম আসমা ফওজি মুহাম্মদ আল-কুবায়েসি। তিনিই হলেন বাগদাদির প্রথম স্ত্রী। তাকে আটক করা হয় ২০১৮ সালের জুন মাসের ২ তারিখ। ওই সময় আরো ১০ জনের সঙ্গে বাগদাদির মেয়ে লাইলা জোবয়েরকেও আটক করা হয়। ওই কর্মকর্তার দাবি, ডিএনএ পরীক্ষা করে পারিবারিক সম্পর্কের সত্যতা নিশ্চত করা হয়েছে। মালিয়া মেইলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা খুব দ্রুত ওই নারী সম্পর্কে জানতে পারি। ওই নারীর আমাদের আইএসের বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন। সংগঠনটির ভেতরের নানা তথ্য জানিয়েছে ওই নারী। আমরা আইএস সম্পর্কে যে তথ্যগুলো আগে জানতাম ওই তথ্যগুলো সম্পর্কে নিশ্চত হতে পেরেছি। এছাড়াও আমরা আরো অনেক তথ্য পেয়েছি। তবে তুরস্কের ওই কর্মকর্তা কি ধরনের তথ্য পেয়েছেন তা জানাননি।

Share.