বার্লি ভেজানো পানির গুণ

0

লাইফস্টাইল ডেস্ক :  আগে জ্বর আসলেই অনেকে ভাতের পরিবর্তে শুধু বার্লি খেতো। কারণ, জ্বর হলে শরীরের তাপ বেড়ে যায়। তাই তাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে বার্লির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এখন অবশ্য সে সব নিয়ম আর নেই। কিন্তু বার্লির গুরুত্ব এতটুকুও কমেনি। পুষ্টিবিদদের মতে, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বার্লি পানি ফুটিয়ে খেলে ওজন ঝরানোর পাশাপাশি, তা ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কিডনির স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। আর কী কী সমস্যার সমাধান করতে পারে বার্লি ফোটানো পানি?

হজমে সহায়ক : কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে বার্লি ভেজানো পানি। পুষ্টিবিদদের মতে, বার্লিতে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই এই পানি খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।

শরীর ঠান্ডা রাখে: দেহের অভ্যন্তরীণ উত্তাপ বেড়ে গেলে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়। ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময়ে পানি বা বাজারজাত পানীয়ের ওপর ভরসা না করে বার্লির পানি খেয়ে দেখতে পারেন।

কিডনি ভাল রাখে:  মূত্রনালিতে সংক্রমণ এবং কিডনি স্টোনের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন বার্লি ভেজানো পানি। শরীরে পানির চাহিদাপূরণ থেকে শুরু করে দূষিত পদার্থ দূর করা, সবেতেই কার্যকর বার্লি ভেজানো পানি।

ওজন ঝরায়: ওজন ঝরাতে যত কসরতই করুন না কেন, কোনও কাজই হবে না যদি বিপাকহার উন্নত না হয়। বিপাকহার ভাল হলে, তার প্রভাব পড়ে শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে। এ ক্ষেত্রে বার্লি ভেজানো পানি বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: বার্লিতে রয়েছে ‘বিটা গ্লুকান’ নামক সহজপাচ্য একটি ফাইবার। যা রক্তে উপস্থিত অতিরিক্ত শর্করা শোষণে বাধা দেয়। হঠাৎ মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে এই বার্লি ভেজানো পানি।

কীভাবে তৈরি করবেন বার্লির পানি:  পানিদিয়ে বার্লি ধুয়ে আগের দিন রাত থেকে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন বার্লি ভেজানো পানি ফোটাতে থাকুন। আধ ঘণ্টা পর মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে আগুন বন্ধ করে দিন। বার্লি ছেঁকে নিয়ে ওই মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস বা পুদিনা পাতা মেশাতে পারেন। চাইলে মধু বা গুড়ও মেশাতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই বার্লি বা যব ভেজানো পানি খেতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন।

Share.