বাসার মালিকের মেয়েকে হত্যায় ৮ ভাড়াটিয়ার কারাদণ্ড

0

ঢাকা অফিস: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসার মালিকের মেয়েকে হত্যার অভিযোগ করা মামলায় আট ভাড়াটিয়ার ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাজেদুল ইসলাম সজল, সোহাগ শরীফ, সাকিব হাসান সিজার, মেরাজুল শেখ ওরফে মিরাজ ওরফে মিজান, আনোয়ার হোসেন ওরফে হৃদয়, শাহ ইমাম হোসেন রনি, মাসুদ শাহ এবং সাগর হাওলাদার। এদের মধ্যে সাজেদুল ইসলাম সজল রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর সাত আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ মে আসামি সজল ও মাসুদ উত্তর যাত্রাবাড়ীর তহুরা খাতুনের ৭৬/১-এল/১৩ নম্বর বাসায় ভাড়া নিয়ে সেখানে ওঠেন। নিচতলার বাসায় বিদ্যুতের সমস্যার কারণে পরদিন তারা তহুরা খাতুনের বাসায় গিয়ে কলিং বেল দিলে তার মেয়ে সাবেকুন নাহার দরজা খুলে দেন। তখন সজল ও মাসুদ ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েন। এরপর আরও ছয়জন সেখানে ঢুকে পড়েন। তারা তহুরা বেগমের হাত ও পা দড়ি দিয়ে বেঁধে এবং মাথাসহ মুখ টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখেন। সাবেকুন নাহার চিৎকার দিলে আসামিদের একজন চাপাতির উল্টো পাশ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। তারা তাকে পাশের রুমে নিয়ে দড়ি, টেপ, টাই ও ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলে। এ ঘটনায় সাবেকুনের মা তহুরা বেগম যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।

Share.