বাস ও মিনিবাস-স্ট্যান্ডে ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট

0

ঢাকা অফিস: রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্যের ঘটনা দীর্ঘদিনের৷ নানা চেষ্টায়ও মিলছে না প্রতিকার৷ তাই এবার সংক্ষুব্ধ একজন আইনজীবীর করা রিটের শুনানিতে বাস ও মিনিবাসসহ গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভাড়ার তালিকা সহজে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু তালেব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে বিধিমালা প্রণয়ন না করে বাস-মিনিবাসসহ গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব ৪ জানুয়ারি ওই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মো. আবু তালেব নিজেই শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন মোখলেসুর রহমান ও মুসতাসীম তানজীর মো. আবু তালেব বলেন, ‘বাস থামার প্রতিটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রকাশ্যে ও যাত্রীদের কাছে সহজে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার তালিকা প্রকাশ ও ইলেকট্রনিক বিলবোর্ডের মাধ্যমে ওই তালিকা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাস ও মিনিবাসসহ গণপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতেও বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ রুলে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ১২২ ধারা অনুযায়ী বাস, মিনিবাস তথা গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধিসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নে ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ওই আইনের ৩৪ (৩) ধারার বিধান বাস্তবায়নে ভাড়ার তালিকা প্রকাশ্য ও সহজে দৃশ্যমান স্থানে না টানিয়ে ভাড়া আদায়ের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, সে বিষয়েও রুল হয়েছে। এ ছাড়া আইনের ৩৪ (৪) ধারার বিধান অনুযায়ী যাত্রীদের কাছ থেকে বাস মালিক ও কন্ডাক্টরদের বেশি ভাড়া আদায় বন্ধে ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এ মর্মেও রুল হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুসচিব, সহকারী সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ (প্রকৌশল) বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Share.