‘বিএনপি দেশের রাজনীতিতে থাকা না থাকায় জনগণের আগ্রহ নেই’

0

ঢাকা অফিস: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি দেশের রাজনীতিতে থাকা না থাকা নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। বিএনপি এখন জনআস্থার তীব্র সংকটে ভুগছে। ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন প্লাজা সংলগ্ন সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আছে, তবে ভিন্ন কায়দায়। তাই জনগণ মনে করে, বিএনপি আছে বলে ষড়যন্ত্র ও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাসও আছে। আমরা মনে করি, বিএনপি থাকুক, তবে অপরাজনীতি ত্যাগ করে দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করুক, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করুক।’ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপির চলমান ভাঙা রেকর্ড তারা বাজিয়েই যাচ্ছে। প্রতিহিংসা নয়, সরকার উদার বলেই বিএনপির নেত্রী এখন পছন্দের চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতার ভিত্তিতেই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁকে বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে এতটুকু কৃতজ্ঞতাবোধও নেই।’সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই, সরকার গণবিচ্ছিন্ন—বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতার মাপকাঠি কী? নির্বাচনই যদি মাপকাঠি হয়, তাহলে সাম্প্রতিক নির্বাচন, উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অন্যান্য প্রায় সব নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে জনগণ কার সঙ্গে আছে। ভবিষ্যতেও প্রমাণ হবে জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের সঙ্গে আছে, নাকি বিএনপির সঙ্গে আছে।’ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতমুখী রাজনীতি বিএনপির ষড়যন্ত্র ও উন্নয়নবিমুখ রাজনীতিতে সংকটের প্রকট ছায়া ফেলেছে। তাই বিএনপি এখন হতশ্রী ও জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল। বিএনপি জলাতঙ্ক রোগের মতো জনগণ ও নির্বাচন আতঙ্কে ভুগছে।বিএনপির পেছনে শুধু ব্যর্থতা, ফলে তারা পেছনে তাকাবে কেমন করে? এমন প্রশ্নে রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে নেতিবাচক রাজনীতির বৃত্তে বন্দি থাকলে সামনের দিকে তাকিয়েও তাদের কোনো লাভ নেই।’

Share.