সরকারের অনুমতি ছাড়া ভাসানচরে যাওয়া নিষিদ্ধ

0

ঢাকা অফিস: ভাসানচর একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা। কিন্তু সেখানে প্রতিদিনই বহুসংখ্যাক নৌযান যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। এসব বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনো নাগরিকই বিনা অনুমতিতে সেখানে যেতে পারবেন না। যাতায়াতের যেসব বাহন আছে সেগুলো বন্ধ থাকবে। সাংবাদিক বা অন্য কেউ সেখানে যেতে চাইলে সরকারের অনুমোদন নিয়ে যাবেন। বুধবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।তিনি বলেন, ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে মানসম্মতভাবে তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে বিক্ষোভ হয়েছে, ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দিতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশেই শরণার্থীদের নাগরিক সুবিধা থাকে না। তাদের থাকতে দেওয়া হয়, নিরাপত্তা দেওয়া হয়। আমরা বলেছি, তাদের চিকিৎসার যেন কোনো ঘাটতি না হয়। তাদের থাকা, খাওয়া, পরার যা দরকার তা শতভাগ সরকার নিশ্চিত করবে। পকেট খরচ দেওয়ার কোনো বিধান নেই। হয়ত না বুঝে বা কারো প্ররোচণায় বলেছে তারা (রোহিঙ্গা)।রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, কক্সবাজার বা অন্য এলাকায় রয়েছে তারা মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য চারদিকে ওয়াল নির্মাণের কাজ আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ হবে। সিসি ক্যামেরা বাড়ানো হবে। অবৈধ কর্মকাণ্ড যাতে বন্ধ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়েছি। এরা যৌথভাবে বিষয়টি দেখবেন। ক্যাম্প ছাড়া দেশের কোথাও যদি কোনো রোহিঙ্গা পাওয়া যায় তবে তাকে ধরে ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে তাদের ভাসানচরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Share.