বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত-১,আহত ১০ পুলিশসহ শতাধিক

0

বাংলাদেশ থেকে ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ পুলিশসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. আব্দুর রহিম (৩৫) নামের সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সদস্য নিহত হয়েছে। এ ছাড়াও গুরুতর আহত প্রায় ৫-৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় শহরের মহাজনপট্টি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরের বাসভবনে দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সভা করেন তারা। সভা শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করার সময় পুলিশ প্রথমে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পরে এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর এলোপাতাড়ি রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও গুলি ছুড়তে থাকে। এতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন কবির শোপানসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে প্রায় ৩০ জনের অবস্থা গুরুতর। তারা ভোলা সদর হাসপাতাল ও বরিশালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশের ছোড়া গুলিতে আব্দুর রহিম নামের সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফরহাদ সরদার জানান, সকালের দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলে পুলিশ তাদেরকে সড়ক বন্ধ করতে নিষেধ করে। এর পরও তারা সড়ক বন্ধ করে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে এবং তাদের মিছিলের মধ্য থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে প্রথমে লাঠিচার্জ করে। এতেও তারা ক্ষান্ত না হওয়ায় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশের অন্তত ১০ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

Share.