বিদ্যুত ঘাটতির মুখে বিটকয়েন মাইনিং স্থগিত করলো ইরান

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  বিদ্যুতের ঘাটতির মুখে পড়ে চার মাসের জন্য বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং নিষিদ্ধ করেছে ইরান। ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন শহরে ব্যাপক আকারে লোডশেডিং শুরু হয়েছে।দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সম্প্রতি মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে বলেন, প্রতিদিন প্রায় দুই গিগাওয়াট বিদ্যুত ব্যবহারের মাধ্যমে শতকরা ৮৫ ভাগই অবৈধ ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করা হচ্ছে। যা লোডশেডিংয়ের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম।এ ছাড়া খরার ফলে দেশটির জলবিদ্যুত প্রকল্পও যথেষ্ট পানি পাচ্ছে না। যার ফলে সে প্রকল্প থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। বিশ্বে মোট বিটকয়েন মাইনিংয়ের শতকরা সাড়ে চার ভাগ ইরানে হয়ে থাকে।যদিও বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এলিপটিক বলছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের ফলেই জাতিসংঘ ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ইরান শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টো সম্পদ যোগাড় করতে পারছে। যা দেশটিকে দরকারি সম্পদ আমদানিতে সহায়তা করছে।এলিপটিক বলছে, ২০১৯ সালে ইরান ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের অনুমোদন দেয়। পরে মাইনারদের জন্য লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে দেশটি। শর্ত ছিলো, এ কাজে নিযুক্তদের পরিচয় জানাতে হবে, বিদ্যুতের জন্য উচ্চহারে বিল দিতে এবং ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছাড়া কারো কাছে এই মুদ্রা বিক্রি করা যাবে না।।যদিও সরকারের সিদ্ধান্তের বিপরীত কথা বলছে দেশটির ন্যাশনাল ইলেকট্রিক কোম্পনি। তাদের দাবি, বিদ্যুত ঘাটতির কারণেই, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনাররা স্বেচ্ছায় এই মুদ্রা মাইনিং বন্ধ করেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রুহানি বলছেন, লাইসেন্সবিহীন মাইনাররা আগে তুলনায় ছয়-সাতগুণ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। এবং সে কারণেই আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, বিটকয়েনের কার্যক্রম মূলত লেনদেনের একটি ডিজিটাল খতিয়ান। যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির দ্বারা পরিচালিত হয়। বিটকয়েন লাভের আশায় মাইনাররা এই খতিয়ানের অডিট করেন। পুরো প্রক্রিয়াটিতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং ক্ষমতার দরকার হয়। যেখানে বিদ্যুত খরচও হয় অনেক বেশি।

Share.